খেলাধূলা ডেস্ক
কাতারের ৯৭৪ স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলেনি। ২০ মিনিটের মাথায় গোল পায় সুইজারল্যান্ড। সার্বিয়ার ডি বক্সের ভেতর রদ্রিগেজের বুলেট গতির শটে বল পান ডি সো। তিনি পাস দেন দলের অন্যতম সেরা তারকা জারদান শাকিরিকে। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাম পায়ের শটে জালের দেখা পান এই তারকা। এ নিয়ে সবশেষ তিন বিশ্বকাপেই গোলের মুখ দেখলেন শাকিরি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) কাতারের ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই সুযোগ তৈরি করতে থাকে সার্বিয়া। পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল সুইজারল্যান্ডও। কিন্তু গোলের মুখ দেখছিল না কোনো দলই।
তবে ম্যাচের বয়স যখন ২০ মিনিট, তখন গোল পায় সুইজারল্যান্ড। সার্বিয়ার ডি বক্সের ভেতর রিকার্ডো রদ্রিগেজের শটে বল পেয়ে যান ডি সো। জারদান শাকিরিকে পাস দেন তিনি। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাম পায়ের শটে বল জালে জড়ান এই তারকা ফুটবলার। এ নিয়ে সবশেষ তিন বিশ্বকাপেই গোল পেলেন শাকিরি।
এর ৬ মিনিট পরই সার্বিয়াকে সমতায় ফেরান আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। দুসান টেডিচের পাস থেকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেড করেন তিনি। তার নেওয়া হেড ফেরাতে পারেননি সুইস গোলরক্ষক। প্রায় দশ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে সার্বিয়া। এবার দলকে লিড পাইয়ে দেন অধিনায়ক দুসান ভ্লাহোভিচ।
বিরতির আগে ম্যাচের স্কোর লাইন করে ২-২ করে সুইজারল্যান্ড। এবার গোলদাতা ব্রিল এম্বোলো। বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় সুইসরা। ভারগাসের পাস থেকে এ গোলটি করেন রেমো ফ্রেউলার।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। রুবেন ভার্গাসের ফ্লিকে বল পেয়ে গোল করেন ফ্রয়লার।
৬৫তম মিনিটে আলেকসান্দার মিত্রোভিচ ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে পড়ে গেলেও রেফারি সাড়া দেননি। প্রতিবাদ জানিয়ে ডাগআউট থেকে মাঠে ঢুকে পড়েন সার্বিয়ার খেলোয়াড়রা। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় খেলা।
বাকি সময়ে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। শেষ দিকে দুই দলের কয়েক জন বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। হলুদ কার্ড দেখেন দুজন।
বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো সার্বিয়াকে। অন্যদিকে ড্র করলেও সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে সুইজারল্যান্ড—এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নমে দুই দল। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন সুইসরা।
কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পর্তুগালের মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড।
Discussion about this post