খেলাধূলা ডেস্ক
বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার দাবিদার ছিলেন সাকিব আল হাসান। ৫ উইকেট নিতে ১০ ওভারে খরচা করেছেন মাত্র ৩৬ রান। বোলিংয়ে তাকে সঙ্গ দেওয়ায় সেরার অন্য দাবিদার ছিলেন ইবাদত হোসেনও। ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার।
সাকিব-ইবাদতের ঘূর্ণিতেই ১৮৬ রানে আটকে যায় ভারত।সব হিসাব বা দাবিদারদের টপকে ম্যাচসেরা হলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। অবিশ্বাস্য বীরত্বে ম্যাচ জিতেয়েছেন ব্যাটার মিরাজ।
রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩৬ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে দরকার ছিল ৫১ রান। উইকেটে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
তাদের এই জুটি ৪ ওভার বাকি থাকতেই বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নোঙর করায়। পরাজয়ের খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে ৩৯ বলে ৩৮ রান করে ম্যাচ শেষ করে ফেরার প্রতিদান মিরাজের এই পুরস্কার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজ। ১১ বলে ১০ রানে ছিলেন মিরাজের সঙ্গে।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল সত্যি কথা বলতে। অনেকে শুনলে হয়তো বলবে পাগল, হয়তো মনে করবে যে কিছু…। সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করছিলাম। আমার বিশ্বাস খুব ভালো ছিল। একবারও মনে হয়নি ম্যাচটা হারবো। শুধু একটা কথা বারবার বলছিলাম, আমার মনে যেটা চলছিল, আমি পারবো। বারবার নিজেকে বলেছি আমি পারবো, আমি পারবো। ’
তিনি বলেছেন, ‘যখনই যে লাস্টের ব্যাটার ছিল- হাসানকেও একই কথা বলেছি যে চার-পাঁচটা বল যদি তুমি খেলতে পারো তাহলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যেভাবে চিন্তা করছিলাম হয়তো এবাদতকে নিয়ে ১৫ রান করবো, হাসানকে নিয়ে ২০ রান করবো। মোস্তাফিজকে নিয়ে শেষে ১৫-২০ রান যা লাগে, করবো। এভাবেই আমার চিন্তা ছিল। ’
শেষ উইকেট যখন ছিল- তখন তো ডু অর ডাই। মানে হারানোর কিছু নাই। তখন তো ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকিটা এমন নিয়েছি… মোস্তাফিজের কথা খুব ভালো লেগেছে- ওর কথা কানে বাজছিল তখন নিজের মধ্যে নিজের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। ’
ও বলেছিলো আমাকে নিয়ে টেনশন করিসনা , আমি আউট হবোনা ! যেভাবেই হোক আমি টিকে থাকবো।
Discussion about this post