খেলাধূলা ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপ যেন এমবাপ্পের জন্য মহাতারকা হওয়ার মঞ্চ। পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স।আল থুমামা স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তিন গোলের দুটি এমবাপ্পে ও অপরটি আসে অলিভিয়ের জিরুদের পা থেকে।
রবিবার রাত ৯টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে পোলিশ ডিফেন্সকে দিশেহারা করে ফ্রান্স। পোল্যান্ড বেশ কিছু আক্রমণ করলেও এমবাপ্পে-জিরুদদের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ডান দিকে থেকে ফ্রি পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে গ্রিজম্যানের নেওয়া ফ্রি কিক চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩ মিনিটে কর্নার আদায় করে ফ্রান্স। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন রাফায়েল ভারানে। তা চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। তবে সুবিধা করতে পারেনি।
১৩তম মিনিটে এসে অরিলিয়ে চুয়ামেনির দূরপাল্লার শট লাফিয়ে পড়ে ঠেকান পোলিশ গোলরক্ষক সেজনি। ১৭তম মিনিটে উসমান ডেম্বেলে দারুণ এক আক্রমণ করেন ডান দিক থেকে। এরপর ডি বক্সে ঢুকে বাঁ পা দিয়ে শট নিলেও তা সেজনিকে পরাস্ত করতে পারেননি।
এরপর পাল্টা আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। ২১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে দারুণ এক বল পেয়ে বাঁ পায়ের শট নেন লেভানডোভস্কি তবে তার শট রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস। ২৯তম মিনিটে এসে প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন জিরুদ। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে গোলমুখে দারুণ এক পাস দেন ডেম্বেলে। দূরের পোস্টে বল পেয়েও তা টোকা দিয়ে জালে জড়াতে পারেননি জিরুদ।
৩৮তম মিনিটে এসে কপাল জোরেই বেঁচে যায় ফ্রান্স। দুর্দান্ত এক আক্রমণে ডি বক্সের ভেতর একের পর এক মোট তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন হুগো লরিস এবং উপমেকানো। এরপর আরেকটি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে ফ্রান্সকে ম্যাচে ধরে রাখেন রাফায়েল ভারানে।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের পাস থেকে বাঁ পায়ের ফিনিশিংয়ে জিরুদের গোল। সেজনির কিছু করার ছিল না। জাতীয় দলের হয়ে এটি জিরুদের ৫২তম আন্তর্জাতিক গোল। এই গোলের মাধ্যমেই ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অরিকে টপকে এককভাবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন জিরুদ। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতে যায় ফরাসিরা।
বিরতির পর ম্যাচের ফেরার চেষ্টা ছিল পোলিশদের। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায় ফ্রান্সও। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ডেম্বেলের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলে এগিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের ৯১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় দলের তৃতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। বক্সের ভেতরে মার্কাস থুরামের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি এমবাপ্পের পঞ্চম গোল।
বিদায় প্রায় নিশ্চিত হলেও পরে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় পোল্যান্ড। বক্সের ভেতর উপামেকানোর হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি উপহার দেওয়া হয় তাদের। স্পটকিক থেকে শট নেওয়া রবের্ত লেভানদোভস্কিকে প্রথমে ঠেকিয়ে দেন লরিস। লাইনের থেকে কিছুটা এগিয়ে এসেছিলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। যে কারণে আবারও শট নেওয়ার সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। এবার আর মিস করেননি পোলিশ অধিনায়ক। কিন্তু সেই গোল শুধু সান্তনাই এনে দেয় কেবল!
Discussion about this post