খেলাধূলা ডেস্ক
গেলো রাতে ক্রোয়েশিয়ার অবিশ্বাস্য চমকের পর এক কথায় রুদ্ধশ্বাস কোটি দর্শক উপভোগ করলো রোমাঞ্চকর আর একটি ফুটবল দ্বৈরথ।এ যেন রুপকথার এক লড়াই! আর্জেন্টিনা নিশ্চিত জয়ের বন্দরে নোঙর করার মুহুর্তে শুরু হয় আসল রোমাঞ্চ। গোল শোধ, সমতা , অতিরিক্ত সময়, টাইব্রেকার, পেনাল্টি সবধরণের বারুদে ঠাসা এক ম্যাচ প্রাণ ভরে উপভোগ করলো ফুটবলপাগলরা।টানটান উত্তেজনার দোলাচালে অবশেষে জয়ের বন্দরে ভেড়ে মেসির দল।
আগের ম্যাচেই ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। ফলে শঙ্কা ছিল পারবে তো আর্জেন্টিনা? আশঙ্কা উড়িয়ে দিতেই যেন ৩৫ মিনিটে মেসির মেসির দারুণ এক সহায়তায় গোল করেন মোলিনা। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন মেসি নিজে। আর্জেন্টিনার জয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল ঠিক তখনই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন নেদারল্যান্ডসের। ৮৩ মিনিট ও ইনজুরি টাইমে (৯০+১১ মিনিট) জোড়া গোল করে সব হিসেব পাল্টে দেন ভেঘোর্স্ট। ২-২ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে আর কোনও গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ প্রমাণ করলেন কেন তাকে বাজপাখি বলা হয়। ডাচদের প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিতে যায় আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। প্রথম ২০ মিনিটে দুবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন মেম্ফিস ডিপাই, কডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি মার্টিনেজকে। অন্য দিকে থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। দুবার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসিরা।
কড়া রক্ষণে রাখা হয় মেসিকে। তিনি বল পেলেই ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংরা এগিয়ে আসছিলেন। অন্তত তিন জন মিলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন।তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখা গেলো না মেসিকে।গোল করিয়েছেন, আবার গোলও করে আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠেন মেসি।
৩৫ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। ঘাড়ের কাছে চার জন ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তারপর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ডান দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন।
Discussion about this post