নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণিত বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদ, আইন বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, স্যোসিওলজি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগ, পাবলিক হেলথ বিভাগ, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক অমল ভূষণ নাগ, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান কাউছার আলম।
উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। এসময় পূর্ব বাংলার জনগণ ছিল পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু, প্রায় ৫৬ শতাংশ। পাকিস্তান সৃষ্টিতে তাদের মুখ্য ভূমিকা থাকলেও পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা স্বাধীনতা পায়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করে।
ড. অনুপম সেন বাংলাদেশ ও বাঙালির উপর পশ্চিম পাকিস্তানের নির্মম শোষণের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ইংরেজরা প্রায় ১৯০ বছর এদেশকে পরাধীন করেছিল, শোষণ করেছিল। ১৯৪৭-৭১ পর্যন্ত প্রায় ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তান বাংলাদেশকে ইংরেজদের চেয়েও নির্মমভাবে শোষণ করেছে। এদেশের অর্থে পশ্চিম পাকিস্তান ও সেখানকার জনগণের জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে; সেখানে নির্মিত হয়েছে তারবেলা বাঁধ; গড়ে উঠেছে করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ; পুষ্ট হয়েছে শিল্পখাত, সেবাখাত ও কৃষিখাত। এভাবে শোষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে। এই শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তি ঘটে স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনের মাধ্যমে।
তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর তাগিদ দেন।
Discussion about this post