নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সে হিসেবে ব্যঘাত ঘটছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতেও। মূলত সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অনলাইন ক্লাস চালু করেছে সরকার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাসগুলো সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে বিপত্তি ঘটেছে গতকাল ২৮ এপ্রিল।
এদিন রুটিন মোতাবেক তৃতীয় শ্রেণির গণিত ক্লাস নিচ্ছিলেন এক শিক্ষিকা। যে ক্লাসে তিনটি সংখ্যা তথা ৪১৬, ২৫৯ ও ৩৯’র যোগফল ৭১৪ হওয়ার কথা থাকলেও ভুলবশত লেখেন ৬৮৪। যার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলেন, এটা আমাদের নজরে আসছে। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রথমত, আমরা এটা সংশোধন করে পুনঃপ্রচার করবো। তাছাড়া আমাদের সর্তক থাকতে হবে, যাতে আগামীতে এ ধরণের ভুল আর না হয়। রেকর্ডিং ক্লাসগুলো প্রচারের আগে রিচেক করা হয় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যিনি এক্সপার্ট ওনি দেখেই দেন। হয়তো উনারও চোখে পড়েনি। যাই হোক, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তবে ওই শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক শিক্ষক নেতা ও সহকর্মীরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বলছেন, ‘স্নায়ুবিক দুর্বলতা অথবা অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে শিক্ষক হয়ত ভুলটা করেছেন। কিন্তু পাশ থেকে কেউ না কেউতো মনিটরিং করেছেন। উনি কী করেছেন? এটা এমন একটা ভুল সেখানে উপস্থিত যে কেউ ধরার ক্ষমতা রাখেন। যদি আপনার পরিচালক না থাকেন, বিশ্লেষক না থাকেন তাহলে এতবড় প্রজেক্ট কেন হাতে নেওয়া হয়েছে?
৬০ শিক্ষার্থীর সামনে পাঠ দিতে গিয়েই অনেক শিক্ষক নার্ভাস হয়ে যান; যদি কোনো কর্মকর্তার সামনে পাঠটি দিতে হয়। আর যখন মাথায় থাকে, সমগ্র দেশ আমার পাঠটি দেখছে তখন এটা সত্যিই সহজ কাজ না অনেকের জন্য! তবে হ্যা, অবশ্যই আরো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক আছেন যাদের ক্যারেরাভীতি নাই, যারা সাবলীল পাঠ দিতে সক্ষম। ভবিষ্যতে শিক্ষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্ক হতে হবে।
Discussion about this post