নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব নাম শিশুর রুচি, মনন ও বোধ পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রুচিশীল ও শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ (বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) চলছে।
ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষক সরাসরি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এর সব বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকের পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হবে।
প্রসংগত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাগল মারা, ছাগল খাইয়া, চোরের ভিটা, দুধ খাওয়া, চুমাচুমি , কুকুর মারা ইত্যাদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যার নাম পরিবর্তনে ইতোমধ্যে দাবী তুলেছে সচেতনমহল।
Discussion about this post