নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৩ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো, নগরীর প্রথম ও পূর্ণাংগ ডিজিটাল বিদ্যাপীঠ খ্যাত সাউথ এশিয়ান স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৩ ।
বর্ণাঢ্য এই ক্রীড়াঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.গাজী গোলাম মাওলা, উপ-পরিচালক ,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ড.মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন শিশির, গবেষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক,টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আনজুমান আরা বেগম , প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম,অন্যতম পরিচালক মো.নাজিমউদ্দিন এবং শিক্ষার আলো পত্রিকার সম্পাদক এস,এম, পারভেজ। প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সালেহউদ্দিন। বাৎসরিক এই উৎসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেসাথে অভিভাবক এবং অন্যান্য শুভানুধ্যায়ীগণও সমবেত হন।
প্রধান অতিথি ড.গাজী গোলাম মাওলা তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশে শরীরচর্চা ও খেলাধূলা বিশেষ ভূমিকা রাখে।খেলার এই মাঠ থেকেই শিশুরা আহরণ করে নেতৃত্ব, সহমর্মিতা ও শৃংখলার মত মানবিক গুণগুলি।তাই শিশুদের খেলাধূলা করার সুযোগ করে দিতে হবে। বর্তমান সরকারের নুতন শিক্ষাক্রম রুপরেখা বাস্তবায়ন হলে শিশুরা লেখাপড়ার অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দময় শিক্ষপরিবেশ ফিরে পাবে এবং তার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতা ভীষণ প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি ড.মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন বলেন,খেলাধূলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যে মানসিক বিকাশ লাভ ঘটে তাই তার লেখাপড়ার অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে।খেলাধুলা শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ। শিক্ষার্থীর দেহ-মন উভয়ই উপযুক্ত রূপে গঠিত হতে পারে খেলাধুলার মাধ্যমে।শিশুমন স্বভাবতই চঞ্চল। তাই বিদ্যালয়ের রুটিন বাধা পড়াশোনার মাধ্যমে বিরাম দিতে হলে লেখাপড়ার সঙ্গে খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য।
স্কুল সভাপতি আনজুমান আরা বেগম শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, আজকের শিশুরা আগামীদিনের ভবিষ্যত।তাই তাদের মধ্যে নেতৃত্বমূলক মনোভাব গড়ে দিতে খেলাধূলার কোন বিকল্প নেই।খেলায় হারজিত থাকবে কিন্তু তবুও এগিয়ে যেতে হবে।আজকের এই হার ভবিষ্যত জয়ের ভিত্তি।
এর পূর্বে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শপথ গ্রহণ শেষে বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে অতিথিবৃন্দ সকালে ক্রীড়ানুষ্ঠানের সূচনা করেন।প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগে ৫০ ও ১০০ মিটার দৌড়,বিস্কুট দৌড়,মার্বেল দৌড়,ভারসাম্য দৌড়, সুঁইসূতা দৌড়,মোরগ খেলা,দড়ি লাফ, গোলক নিক্ষেপ, হাই জাম্প, লং জাম্প ইত্যাদি বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে ক্ষুদে ক্রীড়াবিদরা চরম উৎসাহে।ছিলো অভিভাবক এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণেও ছিলো কয়েকটি খেলা ।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিলো ‘যেমন খুশী তেমন সাজো’ ।এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী, লিওনেল মেসি, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার, সেনা কমান্ডো,স্পাইডারম্যান,পুলিশ অফিসার, লাল-নীল পরী,গাঁয়ের বধু, পথশিশু, শিশু শ্রমিক ও মুক্তিযোদ্ধা সকলে সমবেত হয় একই মঞ্চে! বিশেষ করে ‘প্রধানমন্ত্রী’র ভাষণ সবাইকে আলোড়িত করে।আর ব্যতিক্রমী ডাইনোসর গবেষক ও ভুলোমনা আইনস্টাইনের ল্যাব সবার নজর কাড়ে।
উপস্থিত অভিভাবক ও দর্শকগণ দারুণ উপভোগ করেন বর্ণাঢ্য এই ক্রীড়া আয়োজন।সবশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও পদক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
Discussion about this post