শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) আবেদন, প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় অপ্রয়োজনীয় সনদের বোঝা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে একজন প্রার্থীকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সনদ এবং অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে না।
সোমবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ( পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রে যেহেতু একাধিক তথ্য থাকে, সেহেতু নতুন করে অপ্রয়োজনীয় এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। তবে নতুন নিয়মে কি কি কাগজপত্র চাওয়া বা বাদ দেওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আশা করছি খুব দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে একজন বিসিএস পরীক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত কাগজ সরবরাহ করতে হয় –
প্রবেশপত্র এক কপি, মৌখিক পরীক্ষার সাক্ষাৎকারপত্র এক কপি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এক কপি করে, ইকুইভ্যালেন্স সনদ এক কপি (যারা বিদেশ থেকে প্রকৌশল, মেডিকেল ও সাধারণ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন), কোটা থাকলে কোটার সমর্থনে সব কাগজপত্র এক কপি, ছাড়পত্র/ইস্তফাপত্র/অপসারণ আদেশ এক কপি, অবতীর্ণ সনদ এক কপি (যারা অবতীর্ণ সনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন তাদের জন্য), মূল সনদে চার বছরমেয়াদি ডিগ্রির কথা উল্লেখ না থাকলে সে সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র এক কপি, ডাক্তারের নিকট থেকে ওজন, বুকের মাপ ও উচ্চতার প্রত্যয়নপত্র এক কপি, বিপিএসসি ফরম-০৩ এক কপি, বিপিএসসি ফরম-০১ দুই কপি। প্রাক-চাকরিবৃত্তান্ত যাচাই ফরম দুই কপি, তিন কপি সত্যায়িত ছবিসহ বিপিএসসি ফরম-০২ তিন কপি।
এছাড়াও নাগরিকত্ব সনদপত্রসহ প্রায় ১৫ ধরনের কাগজপত্র সরবরাহ করতে হয়।
Discussion about this post