শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযথ মর্যাদায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদযাপিত হয়েছে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর, ১নং গেইট ‘স্মরণ’ চত্বর, ২নং গেইট ও বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পরে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মহাকালের মহানায়ক, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী ত্রিশ লক্ষ শহীদ, ’৭৫ এ নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের এক মহাকাব্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল দিক নির্দেশনা সম্বলিত জাতির পিতার কালজয়ী এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে অদম্য সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে। এ বিশ্বনেতার সাহসী নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছে স্বাধীনতার ঠিকানা।
আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতা, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর, সম্মানিত শিক্ষক, অফিস প্রধান, বিভিন্ন সমিতির নেতা, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post