নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস ও বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নগরীর সুপরিচিত বিদ্যালয় চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ । সকালে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ।এরপর বিভিন্ন গ্রুপে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপজীব্য করে রংতুলিতে ইতিহাসের নানা চিত্র তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীরা।
এরপর শুরু হয় শিশু দিবসের বিশেষ আলোচনা সভা। স্কুল অধ্যক্ষ হাবিব রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো: গোলাম হোসেন (সাবেক ডিএমডি,চট্টগ্রাম ওয়াসা)। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের অন্যতম পরিচালক প্রফেসর বাহারউদ্দিন মো, জোবায়ের এবং উপাধ্যক্ষ মো. সিকান্দার। এছাড়াও সকল শ্রেণির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন পাঠের পর স্বাগত বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ মো. সিকান্দার বলেন, বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব হল তিনি শুধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, তিনি বাঙালি জাতিকে অনন্যসাধারণ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে হাজার বছরের বাঙালি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ে জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন।
প্রধান অতিথি মো.গোলাম হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন মহামানব।সাহসে, সততায় , নেতৃত্বে ও মানবিকতায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তাই তাঁর জীবনী অনুসরণ করে তোমাদেরও ছোটবেলা থেকেই সৎচরিত্র গঠন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর বাহারউদ্দিন মো. জোবায়ের উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন,বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস। তার আগমন ঘটেছিল মধুমতি আর ঘাগোর নদীর তীরে অবস্থিত অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।নিজের জীবন বিপন্ন করে এই শিশুই একদিন বাঙালি জাতির জন্য এনে দিয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সফলতা। বঙ্গবন্ধুর মত মহাননেতাকে জানতে হলে তাঁর উপর লেখা বই পাঠ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হাবিব রহমত উল্লাহ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠ ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠিকে মুক্তি ও স্বাধীনতার পথ নির্দেশনা দিয়েছিল। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেয়া খোকার বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে অদম্য ত্যাগ, অকুতোভয় নেতৃত্ব আর গভীর দেশপ্রেম। পিছিয়ে পড়া বাঙালি জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়ার মতো মহৎ গুণ হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন শৈশব থেকেই। মুষ্টির চাল উঠিয়ে গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার খরচ বহন করা, সর্বোপরি আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি।তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে অবশ্যই সৎ, আদর্শবান, নিঃস্বার্থ ও নির্ভীক ব্যক্তিত্বরুপে নিজকে গড়ে তুলতে হবে।।
সভাশেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। ।
Discussion about this post