অনলাইন ডেস্ক
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর উদযাপন করেছে জাতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে গোটা জাতিও।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ধরা দিয়েছিলো সেই বিজয়। বাঙালির আত্মত্যাগ পরিণতি পায় বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের অবয়বে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছে জাতি।
রাতের আঁধার কাটিয়ে ফুটেছে ২৬ মার্চ ভোরের আলো। একাত্তরের ২৫ মার্চের বিভীষিকা থেকে যেমন বঙ্গবন্ধুর ডাকে এক হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো দেশের মানুষ, তেমনি স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শহীদের স্মৃতির সৌধ।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভোর পাঁচটা ৫৭ মিনিটে স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার পরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদ উপনেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পুলিশ প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সূর্য সন্তানদের প্রতি।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ। সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার নিয়ে দলে দলে জনস্রোত প্রবেশ করে স্মৃতিসৌধে।
একাত্তরে ২৫ মার্চ রাতে পৈশাচিক বর্বরতার মধ্যেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করে পাকিস্তানি বাহিনী। তার আগেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তারঁ বার্তা পাঠিয়ে যান তিনি।
দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ডাক, দিয়েছিলেন সর্বশক্তি দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার নির্দেশ। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
Discussion about this post