বিশেষ প্রতিবেদক
নুতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৬ জুন। সেবার সারাদেশের এক হাজার ৬০৯টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত করা হয়। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সে সময় সরকারি বেতনের আওতায় এসেছিলেন। এর পর একাধিকবার কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষকরা। বেশির ভাগ সংসদ সদস্যও এমপিওভুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জাতীয় সংসদে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন। এরপর গত নভেম্বরে আরো সাতটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও ছয় মাস ধরে নানা যাচাই-বাছাইয়ের কবলে পড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এই নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের হাহাকার আরো দীর্ঘ হচ্ছিল। অবশেষে সাধারণ ছুটির মধ্যেও কাজ অব্যাহত রেখে যাচাই-বাছাই শেষ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক হাজার ৬৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। আর গতকাল বৃহস্পতিবার কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ ৯৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড প্রদানে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। এতে ভাগ্য খুলল প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর। এখন শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে তাঁদের এমপিওভুক্তির এবং বেতন-ভাতা পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, ‘ যেহেতু এসব কাজ অনলাইনে হয়, তাই শিক্ষক-কর্মচারীরা ঘরে বসেই তাঁদের প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড জানতে পারবেন। এরপর ২ মে থেকেই তাঁরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করব মে মাসের এমপিও মিটিংয়েই বেশির ভাগ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করতে। যদিও জুন মাসে এমপিওর সভা নেই, তার পরও প্রয়োজন হলে ওই মাসে বিশেষ মিটিং করে তাঁদের এমপিও প্রদান করা হবে। আমরা চলতি অর্থবছরেই প্যাটার্নভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সবার এমপিও নিশ্চিত করতে চাই।’
Discussion about this post