অনলাইন ডেস্ক
সাধারণত শিশুদের বাইরে নিয়ে বেরোলেই অনেকসময় এটা-সেটা কেনার জন্য বায়না করে বলে বাবা-মা’রা অভিযোগ করে থাকেন। অথচ একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন সন্তানের এই অভ্যাস তৈরির পেছনে আপনারও কোনো না কোনো ভূমিকা আছে। ছোট থেকে সন্তানের মন ভালো করতে, কখনও বা এমনিতেই চমকে দিতে বিভিন্ন সময় অকারণে নানা উপহার এনে দেন। এই অভ্যাসই ধীরে ধীরে তার মধ্যে বায়না করার প্রবণতা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে , ছোট থেকে এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে ভবিষ্যতে শিশুটিকেই অসুবিধায় পড়তে হয়। কিছু শিশুদের মধ্যে ক্লিপটোম্যানিয়ার যে প্রবণতা দেখা যায়, তার সূত্রপাতও কিন্তু অনেকসময় এখান থেকেই সৃষ্টি হয়।
অভিভাবকরা যা করতে পারেন-
১. কথায় কথায় শিশুর হাতে নতুন খেলনা তুলে দেওয়া যাবে না।
২. শিশুকে একটা টাস্ক বা টার্গেট দিতে পারেন। তাকে বলতে পারেন, টাস্কগুলো করলে তবেই সেটা পাওয়া যাবে। উপহারকে বদলে ফেলতে পারেন পুরস্কারে।
৩. শিশুকে ‘না’ শোনানোর অভ্যেস করান। আবদার করলেই যে মেটাতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসুন।
৪. নিজেদের জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনুন। অনেকে আছেন যারা প্রয়োজন ছাড়াও জিনিস কিনতে থাকেন। তা দেখে শিশুরাও মনে করে এটাই স্বাভাবিক। সেই অনুযায়ী তারা বায়না করতে থাকে।
৫. আপনার শিশুকে অল্পতে সন্তুষ্ট হতে শেখান।
৬. প্রয়োজনে শাসন করুন।
৭. একটানা বায়না করতে থাকলে তার মন অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন।
৮. শিশুকে মাঝে মাঝে খোলা মাঠে নিয়ে যান। প্রকৃতির উদারতা চিনতে সাহায্য করুন। এখনকার শিশুরা সারাদিন অনলাইন মাধ্যমগুলোতে (মোবাইল,ল্যাপটপ,কম্পিউটার) মুখ গুঁজে থাকে। এ কারণে খোলা আলো- বাতাস থেকে বঞ্চিত হয়। ঘরে বসে খেলার উপকরণের জন্য তারা অস্থির হয়ে ওঠে। এ কারণে বায়না করে। মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে বেরোলে শিশুর দিনটাও অন্যরকম কাটবে, আপনারও ভালো লাগবে। এছাড়া সমবয়সীদের সঙ্গে মিশলে, খেলতে পারলে শিশুদের মধ্যে বায়না করার প্রবণতা ধীরে ধীরে অনেকটাই কমে আসবে।
Discussion about this post