নিজস্ব প্রতিবেদক
কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয় বলে সংগঠনের চেয়ারম্যান মনোয়ারা ভূঁইয়া ও মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কিন্ডারগার্টেনের ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। কিন্ডারগার্টেন যেহেতু দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের দায়িত্ব নিয়ে সরকারের ভার লাঘব করছে, তাই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ানো সরকারের কর্তব্য।
এতে আরও বলা হয়, `শিক্ষকরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মানের কি বিবেচনায় ত্রাণের জন্য দাঁড়াতেও পারেন না। কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা কখনও সরকারের কাছে বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করেনি। কিন্ডারগার্টেন যদি না থাকত, তাহলে সরকার আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতনবাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। সেদিক থেকে আমরা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বর্তমান পেক্ষাপটে এ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর প্রায় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে আমাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।`
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে প্রায় ছয় লাখ। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ চাহিদা এ স্কুলগুলো পূরণ করে থাকে।
করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগও বন্ধ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ওপরই এসব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
Discussion about this post