হাসিবুল হাসান
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক লিডারশিপ, ম্যানেজমেন্ট এন্ড গভার্নেন্স কর্তৃক আয়োজিত হলো ‘পলিসি ডায়ালগ সিরিজ, এপিসোড-১”।
বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের ‘টেকসই উন্নয়ন নীতি’ ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের বিভিন্ন মাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,বিশ্লেষক, নীতিনির্ধারক, সামাজিক উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সচেতন নাগরিক।
ইডিউর মাননীয় উপাচার্য এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ইন্ডেপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডক্টর নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন,”নগরের নীতি-নির্ধারণী ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রায় যেসব অঙ্গপ্রতিষ্ঠান
নিযুক্ত, তাদের মাঝে সমন্বয়হীনতা প্রকট, যার পরিপ্রেক্ষিতে দায়বদ্ধতার অভাব ও বিদ্যমান।“ চট্টগ্রাম কে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে, তিনি নগরায়ণের নীতি-নির্ধারণী ক্ষেত্রে মনিটরিং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া, ইডিউর সহযোগী অধ্যাপক এবং উল্লিখিত ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যান তাসমীম চৌধুরী বহ্নির পরিচালনায়, উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিটি ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ডক্টর কাজী শাহদাত কবির, বীর মুক্তিযোদ্বা ফারূক ই আজম (বীর প্রতীক), একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক এবং সাংবাদিক আবুল মোমেন, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির আলিহোসাইন, ফোরাম ফর প্ল্যান্ড চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন ডক্টর হামিদুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মেম্বার এবং লেখক সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, বিশিষ্ট স্থপতি প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসাইন, রাজউক এর সাবেক প্রধান
প্রকৌশলী এম এমদাদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, একুশে টেলিভিশন এর ব্যুরো চিফ রফিকুল বাহার এবং ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ নীতি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সাঈদ আল নোমান বলেন, “চট্টগ্রাম এ নতুন করে মাস্টার প্ল্যান এবং স্ট্রাকচার্ড প্ল্যান সাজানো প্রয়োজন, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সঠিক আইন প্রণয়ন অত্যাবশ্যক। সময় এবং প্রয়োজনীয়তার সাথে সাথে প্ল্যান গুলো পরিবর্তন হবে। কিন্তু নগর
উন্নয়নে যদি এখনি প্রকল্প গ্রহণ না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু টেকসই উন্নয়ন হবে না”।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে নাগরিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। তিনি বিশ্বাস করেন, পাবলিক পলিসি কেন্দ্রিক এমন আলোচনা অনুষ্ঠান সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে একীভূত করবে এবং শহরের উন্নয়নে তাৎপর্যময় ভূমিকা পালন করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে, উপস্থিত অতিথি এবং দর্শক এর প্রতি ইডিউর মাস্টার অফ পাবলিক পলিসি এন্ড লিডারশিপ প্রোগ্রামের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীবৃন্দ তাদের কর্মজীবনে উক্ত প্রোগ্রামের ইতিবাচক প্রভাব উপস্থাপন করেন।
Discussion about this post