শিক্ষার আলো ডেস্ক
‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারছে, তাদের বছরের মাঝপথে আরও বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। যারা ব্যয় করতে পারেন না তাদের সমস্যা, যারা ব্যয় করতে পারে তাদের জন্য কোনো সমস্যা নেই। বর্তমান সরকার গবেষণাকে উৎসাহিত করবার জন্য বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন।’
সোমবার (২৪ জুলাই) আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণার অর্থ ব্যয় করতে পারছে সঠিকভাবে তাদেরকে আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার এবং উদ্ভাবন-ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, লাইব্রেরির সুবিধাগুলো বিস্তৃতিকরণ করা হচ্ছে, আবাসিক সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে সেই সাথে প্রতিটি বিষবিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট যে আসনসংখ্যা সেটিও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ইস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষকদের কনফারেন্সে গবেষণাপত্র স্থাপনের এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশে সহযোগিতা প্রদান সহ উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই শিখুক না কেন-তাকে প্রযুক্তি ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতেই হবে; সেজন্য আমরা শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে কাজ করছি। ব্লেন্ডেড এডুকেশন, নতুন শিক্ষাক্রমসহ নানা পরিবর্তন এসব লক্ষ পূরণে কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে; এ নিয়ে আমাদের বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নান্দনিকতাবোধ, মানবিক শিক্ষা না থাকলে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হয়, জ্ঞান সৃষ্টির, মুক্ত বুদ্ধি চর্চার এবং গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত পরীক্ষায় আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় নানান বাধা বিপত্তি আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করছি সেগুলো দূর করে দিতে।
আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা এবং সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এটি এখন সময়ের দাবি, আমাদের এগিয়ে যেতে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতা টিকতে হলে পরিবর্তনের আবশ্যিকতা স্বীকার করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞজুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, আহসানিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
Discussion about this post