অনলাইন ডেস্ক
শুরুটা হয়েছিলো সদ্য প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরির হাত ধরে। লকডাউন বাধা ডিঙিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রতিযোগিতা শেষে অনলাইন লাইভেই ঘোষণা করা হলো তার স্বপ্নলালিত ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
রোববার পড়ন্ত বিকেলে শেষ হওয়া এই অনুষ্ঠানে তাঁর নামে প্রদত্ত চ্যাম্পিয়নশিপ পুরস্কার প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতীয়ভাবে শুরু হলো ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ জয়ের মিশন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাঁর স্মৃতিচারণায় ভারী হয়ে ওঠে উৎসবের পরিবেশ। এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো বিচ্ছুরিত হতে থাকে দেশী-বেদেশী অনুরাগীদের বক্তব্যে।
অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ করিমের সঞ্চালনায় একের পর এক স্মৃতিচারণ করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ,ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ম্যাকিন্সি অ্যান্ড কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রি নলেজ এক্সপার্ট সাম সামদানি, মোহাম্মাদ মুসলিম চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, অধ্যাপক ফরহাদ আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্মৃতিচারণায় ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘গণিত অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাসহ সত্তর দশকের পর থেকে এই ২০২০ সাল পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে সব ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা। তিনি সর্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্য ও অসাধারণ সব গুণের অধিকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। একাধারে ২০-২৫টি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উনি যদি ১০ বছর পরেও মারা যেতেন, তবেও সেই সময়টাও সঠিক সময় হতো না।’
ম্যাকিন্সি অ্যান্ড কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রি নলেজ এক্সপার্ট সাম সামদানি বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আমি জেআরসি স্যারের সান্নিধ্যে আসি। আমি তার প্রযুক্তি প্রাণ মননে মুগ্ধ হয়েছি। তার সঙ্গে কথা বলে তার মেধার উচ্চতা সম্পর্কে জেনেছি। নিজেকে গর্ববোধ করছি।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, জেআরসি স্যারই দেশে কম্পিউটার গ্রাজুয়েট বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। তার তত্বাবধানেই ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮০জন করে কম্পিউটার এক্সপার্ট তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয় আমাদেরকে। কম্পিউটার বিষয়ে চালু করা হয় পোস্ট গ্রাজ্যুয়েট ডিপ্লোমা। আমি দেখেছি, তিনি বিদেশের মাটিতে কীভাবে দেশকে উঁচু অবস্থায় তুলে ধরেছেন। তিনি ছাড়া আমরা কিভাবে চলবো এখনো জানি না।
জেআরসি স্যার অনুকরণীয় আদর্শ উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা স্যার তার কর্মের মধ্য দিয়েই বেঁচে আছেন। স্যারকে আমরা গণিত অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ জাতির প্রতিটি প্রয়োজনে পেয়েছি। তাঁর নামে এ অ্যাওয়ার্ড চালু করায় ভালো লাগছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের জীবনকে সহজ করে দিতে ব্লক চেইন টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে জামিলুর রেজা স্যারের এই স্বপ্ন পূরণেই আমরা সাধ্যমতো কাজ করবো।’
Discussion about this post