শিক্ষার আলো ডেস্ক
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মো. নাঈমুর রহমান । পরপর দুবার হার মানার পর তৃতীয়বারে বাজিমাৎ করলেন এই অদম্য মেধাবী!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন মো. নাঈমুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। স্নাতকের শেষ বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার পর শুরু করেন বিসিএস ও অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রস্তুতি। কিছুদিন চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার পর শুরু করেন বেসরকারি চাকরি। ২০১৯ সাল থেকে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায়। ২০১০ সালে চট্টগ্রামের টিকেট প্রিন্টিং প্রেস কলোনী হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১২ সালে চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বিজয় ৭১ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
মো. নাঈমুর রহমান বলেন, ‘ফলাফলের প্রথমেই নিজের রোলটা দেখে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। প্রথম হওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। মো. নাঈমুর রহমান বলেন, ‘চাকরির পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছি। দিনে চাকরি করে রাতে বাসায় গিয়ে পড়েছি। চাকরির পর যতটুকু সময় পেতাম, তা সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
৪১তম বিসিএস নাঈমুরের তৃতীয় বিসিএস পরীক্ষা। এর আগে ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে নবম গ্রেডে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। ৪০তম বিসিএসে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পর গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। নতুন যাঁরা বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে মো. নাঈমুর রহমান বলেন, ‘এটা যেহেতু একটি দীর্ঘ পথ। তাই ধৈর্য রাখতে হবে। সব সময় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। মাঝে মাঝে প্রতিকূল সময় আসতে পারে। পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে, কিন্তু কখনো ধৈর্য হারানো যাবে না। নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। ভালো লাগার কাজটা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে হবে।’ সুত্র- প্রথম আলো
Discussion about this post