জানে আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য ‘ইকো-কানেক্ট’ প্রকল্প উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশের কলেজপড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থী। ঘনবসতিপূর্ণ শহরের পরিবেশ রক্ষা, কংক্রিটের শহরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ও সবুজায়নে ভূমিকা রাখবে তাদের এই প্রকল্পটি।
‘বিআইইএ’ হলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (এসটিইএম) জনপ্রিয়করণ সংস্থা। প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে তরুণদের অভিনব চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বৈশ্বিক পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যার উন্নততর সমাধান উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে।
এবার সংস্থাটির ২০২৩ প্রতিযোগিতার আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের একটি মাত্র দল ‘টিম ভিরিডিয়ান’। এ বছরের প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউসে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে দলটি। এবারের প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য সমাধান উদ্ভাবন’।
টিম ভিরিডিয়ান-এর সদস্যরা টেকসই শহর গড়ে তুলতে উদ্ভাবন করেছে এই ‘ইকো-কানেক্ট’ প্রকল্পটি। যা একই সাথে সরকার, করপোরেট অফিসার ও সাধারণ জনগণকে একত্রিত করে শহর সবুজায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। ইকো-কানেক্ট প্রকল্পটি মূলত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
পাঁচ সদস্যের টিম ভিরিডিয়ানের দলনেতা সামিহা সুলতানা জাহিন হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে রয়েছেন দেশের চারটি শহরের কলেজপড়ুয়া আরও চারজন সদস্য। তারা হলেন-চট্টগ্রাম থেকে এ-লেভেল শিক্ষার্থী সাবিহা উলফাত, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাবরুকা মাহাবুব, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান মাহিম ও কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা আকরাম অর্পি।
এ বিষয়ে দলনেতা সামিহা সুলতানা জাহিন বলেন, আমাদের প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক এবং স্বল্প খরচে বাস্তবায়নযোগ্য, যা বাংলাদেশের বর্তমান তাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। শহরের খালি জায়গায়গুলোতে বৃক্ষ রোপণ করে আমরা এটি বাস্তবায়ন করবো। আমরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেব। কোন জায়গায় কি ধরনের বৃক্ষ উপযোগী, তা বিবেচনা করে এটি করা হবে। প্রাথমিকভাবে এ প্রজেক্টটি আইইউবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত গ্রিন জিনিয়াস সিজন-৪ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত স্বীকৃতি পেয়েছিল। পরে বিআইইএ-২০২৩ প্রতিযোগিতা শুরু হলে সেখানে অংশগ্রহণ করি। আমাদের এ পরিকল্পনায় বিশেষ সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এ প্রতিযোগিতার সেকেন্ড রানার্স আপ হয় বাংলাদেশের একটি দল। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্ভাবনাময় তরুণদের মধ্যে ৫০০টির মতো দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
Discussion about this post