শিক্ষার আলো ডেস্ক
জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ চেয়ার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ) নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন। বিশ্ববিদ্যালয়টির দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে (এসএআই) চলতি উইন্টার সেমিস্টারে (অক্টোবর ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত) তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে পাঠদান করাবেন।
সোমবার (৭ আগষ্ট) জুম প্ল্যাটফরমে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ চেয়ারের জন্য গঠিত কমিটির এক সভায় সোনিয়া নিশাতকে নির্বাচিত করা হয়।
আয়োজিত সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির মডার্ন ইনডোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হান্স হার্ডার, এসএআইর নির্বাহী সচিব ড. মার্টিন গিজেলম্যান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক উইলিয়াম স্যাক্স, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার কাজী মোহাম্মদ জাবেদ ইকবালসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপের মাধ্যমে ড. সোনিয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব, কর্ম ও আদর্শকে বহির্বিশ্বের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের সামনে উপস্থাপন করবেন।পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, বর্তমান আর্থসামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরবেন। ফেলোশিপের আওতায় অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন এসএআইর বিভাগীয় সভা, সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশ নেবেন। একই সঙ্গে তিনি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আগামী বছর থেকে এপ্রিল মাসের শুরুতে বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচিত করা হবে।
হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’-এর জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আবেদন গ্রহণের উদ্দেশে ইউজিসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ বিষয়ে মোট ১৬টি আবেদন জমা পড়ে। এসএআই কর্তৃপক্ষ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ চেয়ার স্থাপন করা হয়।
চালু হওয়ার প্রথম দুই বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা এ ফেলোশিপের আওতায় যোগ দেন। ২০০২ সালের পর কোনো শিক্ষক এ ফেলোশিপের আওতায় যোগদান করেননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সরকার পুনরায় বাংলাদেশ চেয়ার চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচিত হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ।
Discussion about this post