নিউজ ডেস্ক
করোনাথন হ্যাকাথন-১৯ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মো: তানভির এবং জুনিয়র ক্যটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সানি জুবায়ের।
সোমবার অনলাইনে ডিজিটাল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েটের সদ্য সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদ এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের প্রধান ড. সৈয়দ আক্তার হোসাইন এবং সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া।
হ্যাকাথনের বড়দের দলে জমা পড়া ৯৬টি ধারণার মধ্যে ২৭টি প্রকল্প অনলাইনে প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর এমডি’র ছেলে মো: তানভির। এআইভিত্তিক সিসিক্যামেররা মাধ্যমে নজরদারীর মাধ্যমে মহামারী মোকাবেলার ধারণা দিয়েছে ‘স্টপ’ প্রকল্পটি।
মলিক্যুলার ডায়নামিক সিম্যুলেশনের মাধ্যমে জনবহুল এলকায় ভাইরাস ধ্বংসের ধারণা দিয়ে এই ক্যাটাগরিতে রানার্সআপ হয়েছে ইরানের শরিফ ইউনিভার্সিটির দল ভাইরাস হান্টার। এই দলের সদস্যরা হলেন- আহনাদ রামজানি সাদাতাবাদি, আজাদেহ কোরদাজদেহ এবং আলি আজগর মোহাম্মাদী।
অন্যদিকে ফুড অ্যান্ড নিউট্রেশন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শের-এ বাংলা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির দল স্মার্ট অক্যুপনিকস সিস্টেম। এই দলের সদস্যরা হলেন- মোহাম্মাদ ইফতেখার আলম ওমর, আদনান সেতু এবং তামজির আহম্মেদ।
এছাড়াও ‘ডিজিটাল ট্র্যান’ উদ্ভাবন ধারণা দিয়ে রানার্স আপ হয়েছে আইইউব্যাট দল। এই দলের সদস্যরা হলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী তানজিলা বিনতে হাফিস, তওফিকুল আনাম এবং নাসিমুল ইসলাম।
অপরদিকে ওপেন বক্স ক্যাটাগরিতে স্মার্ট অ্যাপার্টমেন্ট আইসলেশন অ্যান্ড লকডাউন প্রকল্প নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল, ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা ও বুয়েটের তিন শিক্ষার্থীর দল ‘রক্ষী’। এই দলের সদস্যরা হলেন- আবরার মাসুম, নাসিফ জামান এবং ফাহিম হাসান।
একই ক্যাটাগরিতে স্বয়ংক্রিয় ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতির ধারণা জমা দিয়ে রানার্স আপ হয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল মিনিয়নস। এই দলের সদস্যরা হলেন- প্রশান্ত কুমার দাস, আনিকা তাহসিন এবং আরিফা আক্তার।
অন্যদিকে জুনিয়ার পর্যায়ে হেলথ কেয়ার ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভেন্টিলেটর তৈরি করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সানি জুবায়ের।
এই ক্যাটাগরিতে টাচ-লেস ডোর হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ভাবন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তুলি রানার্সআপ হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় ওপেন বক্স ক্যাটাগরিতে সংক্রমণ প্রতিরোধের সেবা ধারণা দিয়ে দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে‘শপি’। এই দলের সদস্যরা হলেন- আল মামুন অভি, আব্দুল আজিজুল হাকিম বিজয় এবং মারুফ আহমেদ শাফিন।
হ্যান্ডস্যানিটাইজারের পরিবর্তে অতিবেগুনী রশ্মী ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করণ সুবিধার ধারণা দিয়ে এই ক্যাটাগরি রানার্স আপ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সামি খান।
Discussion about this post