শিক্ষার আলো ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩ জন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিন শিক্ষার্থী হলেন- আমজাদ হোসেন সোহাগ, খলিলুর রহমান এবং অংসইনু মারমা।
এছাড়াও নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাইজুল ইসলাম, আবু সাইদ, সান আহমেদ, রাফসান ও আসলাম।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে লেগে অন্তত ১৯ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে ১৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার সাংবাদিকদের বলেন,শাটলের ব্যাপারে আমরা রেলওয়েকে বলতে বলতে শেষ। এমনকি রেলওয়ে মন্ত্রী আমাদের গতবছরই বলেছিলেন ট্রেন দিবেন। আমরা পাইনি। তারা বলেছে তারা চেষ্টা করছে আরও দুই তিনটা বগি বাড়ানোর বিষয়ে।
ওইদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে চবি উপাচার্য আরো বলেন, আমরা আহতদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। তারা যেন ভালো চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে আমরা এটাই চাইব।
এছাড়া, চবি প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। যাদের সিটিস্ক্যান প্রয়োজন, তাদের সিটিস্ক্যান করা হচ্ছে। যাদের ওষুধ দরকার, তাদের ওষুধ কিনে দেওয়া হচ্ছে। যারা আহত হয়েছেন, আমরা তাদের জন্য দুঃখিত, মর্মাহত। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। শিক্ষার্থীরা যাতে ছাদে না ওঠেন, সেজন্য রেলের বগি বাড়ানোর জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো’।
Discussion about this post