শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে Prospects of Career of Business Students in RMG Sector শীর্ষক সেমিনার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিতা মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সরোয়ার উদ্দিন, কী-রিসোর্সপার্সন ছিলেন কেডিএস ফ্যাশন লিমিটেড এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক রেহানা আকতার এর সঞ্চালনায় সেমিনারে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক সোমা দে, মিসনাত সুলতানা ও মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প বর্তমানে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।
প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বাদ দিলে দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আরএমজি সেক্টর অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই সেক্টরে প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছে। তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও রয়েছে। বর্তমানে এই শিল্পখাতে প্রচুর দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজন। তাই দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সেক্টরে তাদের ক্যারিয়ার গঠন করুক। সেই নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং এর আয়োজন করছে।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মো. সরোয়ার উদ্দিন বলেন, প্রতিযোগিতাশীল এই বিশ্বে সকল ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই। ডিগ্রী অর্জন শেষে কর্মক্ষেত্রে যাতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে সঠিক দক্ষ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে বা নিজেদের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আন্তরিক।
কী-রিসোর্সপার্সন জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় যে শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প অর্থাৎ আরএমজি সেক্টর। শ্রমিক সহজলভ্যতার কারণে এই শিল্প বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যেমন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী করেছে তেমনি এই শিল্পে এখনো দক্ষ মানবসম্পদের সংকট রয়েছে। যার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং অনেক বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এই সেক্টরে অনেক বিদেশিদের নিয়োগ করেছে, যাদের বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন প্রদান করতে হয়। আমরা যদি আমাদের মধ্য থেকে দক্ষ জনশক্তি, মানবসম্পদ তৈরি করতে পারতাম তাহলে ঐ বিদেশিদের জায়গায় উদ্যোক্তারা আমাদেরকে নিয়োগ প্রদান করতেন। যার ফলে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতো।
Discussion about this post