তানভীর পিয়াল
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ-বিভূঁইয়ে পাড়ি দেওয়া নতুন কিছু নয়। উন্নত দেশগুলোতে বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে নিজের জীবনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সকলেই চায়। কিন্তু এতে বাধা-বিপত্তিও কম নয়। বিশেষ করে উন্নত রাষ্ট্রের জীবনযাত্রা ও পড়ালেখার ব্যয় বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এ স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এক দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য।
দেশে বসেই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) এর বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে পারবে আগ্রহীরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে তাদের পাঠদান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ইউটিএস-এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার এ প্রত্যয়ে সারথী হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি। ইউটিএস এর যে কোনো প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক বছরের প্রথম বছরটি প্রিমিয়ারেই পড়তে পারছে।
ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি বর্তমান কিউ এস ক্রমতালিকায় সারা পৃথিবীর সেরা ৯০ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। এর জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে তিনটি আপাতত উন্মুক্ত করেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। এগুলো হলো স্নাতক ১ম বর্ষ বিজনেস, স্নাতক ১ম বর্ষ ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং একাডেমিক ইংলিশ। বুনিয়াদি শিক্ষার উদ্ভাবনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে গড়ে তোলা তিন বছর মেয়াদী মৌলিক এ কারিকুলামগুলো বিশ্বজুড়ে আজ সমাদৃত। তাই বিশেষায়িত এ ডিগ্রি অর্জনে ইউটিএস-এর সিডনি ক্যাম্পাসে পাড়ি জমায় বিশ্বের নানান দেশের শিক্ষার্থীরা।
এবার এ সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীরা। সাথে আছে শতভাগ বৃত্তিরও সম্ভাবনা। উপরন্তু, বাংলাদেশে প্রথম বছর শেষ করার পর, শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে টিউশন ফি-তে ন্যূনতম ২০ থেকে ২৫ বা তারও বেশি শতাংশ মেধাবৃত্তি পাবে।
নিয়মিত টিউশন ফি’র চেয়ে ৭৫ শতাংশ কম খরচে দেশের পরিচিত পরিবেশেই বিদেশের উচ্চশিক্ষার স্বাদ নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেও পাবে পর্যাপ্ত সময়। পাশাপাশি এক বছর নিজ দেশে থাকায় বিদেশের জীবনযাত্রার বিপুল ব্যয় নির্বাহের বাড়তি খরচটুকুও করতে হবে না কোন শিক্ষার্থীকে। এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়, অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পর একজন শিক্ষার্থী সেখানকার দৈনন্দিন জীবনের খরচ মেটাবে কিভাবে? ইউটিএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পাবে।
ফলে, এসব কাজ করেই খরচের বড় একটা অংশ তারা উপার্জন করে নিতে পারবে এবং পড়ালেখাতেও এর কোন প্রভাব পড়বে না। এছাড়া, ডিগ্রি অর্জনের পর অস্ট্রেলিয়ার চাকরি বাজারেই নিজের দক্ষতা অনুসারে কাজ করতে পারবে তারা। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় পারমানেন্ট রেসিডেন্সের সুযোগও উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
ইউটিএস-এর ডিগ্রি বিশ্ববাজারেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনিতে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে চট্টগ্রাম ওয়াসাস্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ক্যম্পাসে। শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জেনে নেওয়া যাবে ডিগ্রিগুলোর আদ্যপান্ত, সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা নিয়ে।
Discussion about this post