খেলাধূলা ডেস্ক
শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলের সদস্য হতে পারেননি অভিজ্ঞ ওপেনার ড্যাশিং তামিম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরে নির্বাচক ও মেডিক্যাল বিভাগকে নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটারের বক্তব্য ছিল তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হলে যেন ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়। এই নিয়েই মূলত আপত্তি ছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সোমবার মধ্যরাতে বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় সভা বসেছিল। সেখানে ছিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও। সাকিব এবং হাথুরুসিংহে কোনোভাবেই আনফিট তামিমকে নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চাননি। শেষমেশ নির্বাচকরা বাধ্য হয়েছেন সাকিবের কথা মেনে নিয়ে দল ঘোষণা করতে।
নির্বাচক নান্নু বলেন , ‘আপনারা তো বিশ্বকাপের স্কোয়াড পেয়েছেন। তামিমের অনেকদিন ধরে ইনজুরি কনসার্ন। এটা নিয়ে লড়াই করছিল। প্রথম ম্যাচ খেলার পর অভিযোগ এসেছে চোট নিয়ে। ইনজুরি চিন্তা করে তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি। টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আলোচনা করে ঝুঁকি নেইনি। বিশ্বকাপ লম্বা টুর্নামেন্ট, এটা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ’
এই সিদ্ধান্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে আলোচনা করেই স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। তামিমের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছে। সার্বিকভাবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে। সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মেডিকেল থেকে না জেনে সিদ্ধান্ত নেইনি। ’
সবাই ধরে নিয়েছে, তামিম ইকবালকে বাদ দেয়া হয়েছে তার ইনজুরির কারণে। কিন্তু বিষয়টা মানতে একেবারেই নারাজ মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি জানিয়েছেন, তামিমকে বাদ দেয়া হয়নি, তামিম নিজেই থাকতে চাননি। এ কারণে তাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়নি।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর যখন তুমুল আলোচনা হচ্ছিলো, তামিমকে বাদ দেয়া হয়েছে, তখন মাশরাফি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে লেখেন এসব কথা।
তবে ফেসবুক পোস্টে মাশরাফি বলেন, ‘একটা তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে, আসল সত্য হলো তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যবধানটা অনেক। আমার মনে হয় এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য।’
, ‘এখন প্রশ্ন হতে পারে তামিম কেন দলে থাকতে চাইলো না। আসলে সে উত্তর আমার কাছে নাই। সেটা একমাত্র তামিমই বলতে পারে।’
Discussion about this post