খেলাধূলা ডেস্ক
ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য মঙ্গলবার চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে বিসিবি। ওই দলে দেশ সেরা ওপেনার ও সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের জায়গা হয়নি। তার জায়গায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ২২ বছর বয়সী তানজিদ হাসান তামিম বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন।
তামিমের বিশ্বকাপ দলে জায়গা না হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা। এ ঘটনায় বিসিবির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রিকেট ভক্ত। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিটনেসজনিত কারণে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। কোমরের ইনজুরি ও ফিটনেসের কথা চিন্তা করে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
আগের দিন জানা গিয়েছিল, ‘আনফিট’ কিংবা ‘অর্ধেক ফিট’ কোনো ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপ দলে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোচ ও অধিনায়কের আপত্তির কারণে নির্বাচক প্যানেল ১৫ জনের দলে রাখতে পারেনি তামিমকে।
এদিকে তামিম ইকবাল আজ এক আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ওই পোস্টে তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো।’
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন-
‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।’
কিউইদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রেস্ট নেওয়ার বিষয়ে দেশসেরা ওপেনার বলেন, ‘শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে।
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বলেছি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না। এটা মিথ্যা। আমি কখনো, কোথাও বলিনি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না। ফিজিও ও মেডিকেল বোর্ড আমার ফিটনেস নিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছিলো। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তবে নির্বাচকদের জানিয়ে রেখেছিলাম যে আমার কোমরে ব্যাথা রয়েছে ,যাতে একটা ব্যাক আপ থাকে বা প্ল্যান থাকে।
তিনি বলেন, ‘যখন খেলা শেষ হলো আমি আমার অবস্থা বললাম ফিজিওকে যে আমি এমন অনুভব করছি। ঠিক ওই মুহূর্তে তিনজন নির্বাচক ড্রেসিংরুমে আসেন। একটা জিনিস আপনাদের একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই। আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে, কাউকে বলিনি যে পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না। তবে চোটের বিষয়টি নির্বাচকদের মাথায় রাখতে বলেছিলাম।”
কিন্তু পরদিন বোর্ডের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা (নাম উল্লেখ করেননি) ফোনে বললেন যে আমি যেন আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচ না খেলি। আমি বললাম কেন খেলবোনা, আমিতো তখন আরও ভালো হয়ে উঠব। তিনি বললেন, তাহলে তিন বা চারে ব্যাট করতে হবে ইত্যাদি। এ জিনিসটা আমি মেনে নিতে পারিনি! এপরও অনেক কথা হয়েছে । যা আমি প্রকাশ্যে বলতে পারছিনা বা বলছিনা। সবশেষে এসব নোংরামী থেকে আমি অব্যাহতি চেয়েছি।
যাইহোক বিশ্বকাপ দলের প্রতি আমার শুভকামনা এবং সাফল্য কামনা করছি। আশা করছি আপনারা আমায় ভুলে যাবেন না, মনে রাখবেন।
Discussion about this post