খেলাধূলা ডেস্ক
বাংলাদেশ ৭ উইকেটের দাপুটে এক জয় পেয়েছে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে! বিশ্বকাপ ওয়ার্ম আপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক পারফরম্যান্স টাইগার তরুণদের।ওপেনার লিটন দাস ও তরুণ তানজিদ হাসান তামিমই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। এরপর মেহেদী মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমরা বাকি কাজ সেরেছেন ।
সাকিববিহীন ম্যাচে অধিনায়কত্ব পাওয়া মিরাজ আজ ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রেখেছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের (৩২/১) পর ব্যাট হাতেও পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তার আগে প্রতিভা দেখিয়ে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া তানজিদ তামিম ম্যাচটিতে সেঞ্চুরির আশাও জাগিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রানে ফিরেছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। তিনিও দীর্ঘ সময় পর ফিফটি পেয়েছেন, যা মূল ম্যাচের আগে অনেকটা ফুরফুরে রাখবে বাংলাদেশকে।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে ম্যাচে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পুরো ম্যাচজুড়ে তার বলে অস্বস্তিতে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। যে কারণে চাপে পড়ে তাদের উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও রানখরায় ভোগা লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা এদিন মাত্র ৩ রানে শরীফুলের বলে ক্যাচ আউট হয়েছেন। এরপর ইনিংস বড় করার চেষ্টা চালান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিমুথ করুণারতেœ। করুণারতেœ (১৮ রান) আউট হতেই ২১৮ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর ডি সিলভার অর্ধশতকের সুবাদে আড়াইশ রান পেরোয় তারা। মাঝে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুটি রান-আউটে বড় অবদান রাখেন। করুণারতœকে তিনি আউট করেন সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দিয়ে। এরপর আর কোনো লঙ্কান ব্যাটার বলার মতো রান পাননি। পেরেরা আগেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ায় ৪৯.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
বাংলাদেশ ২৬৪ রানের লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরু করে। লিটন ও তানজিদের ব্যাটে শুরু থেকে দাপট দেখায়। ৩৭ বলে লিটন হাফ সেঞ্চুরি করেন, ৫২ বলে ফিফটি করেন তানজিদ। দুজনের জুটি ছিল ১৩১ রানের। লিটন ৬১ রান করে আউট হন। ৫৬ বলের ইনিংসে ছিল ১০ চার।এরপর মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে আউট হন তানজিদ। ৮৮ বলে ১০ চার, ২ ছয়ে ৮৪ রানে থামেন তিনি। তাওহীদ হৃদয় গোল্ডেন ডাক মারেন।
বাকি পথ পাড়ি দেন মিরাজ ও মুশফিক। দুজনের ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জিতে যায় বাংলাদেশ। ৪২ ওভারে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৬৪।
৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ৪৩ বলে ২ চার, ১ ছয়ে ৩৫ রানে খেলছিলেন মুশফিক।
বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলাররা আগে পরীক্ষা দেয়। গৌহাটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে লঙ্কানরা। এশিয়া কাপের রানার্সআপরা দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ২৬৩ রান করে।
পায়ের ব্যথায় এই ম্যাচে খেলেননি সাকিব আল হাসান। অধিনায়কত্ব পালন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার মেহেদী, ৯ ওভারে ৩৬ রান খরচায় তিন উইকেট নেন। পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ উইকেট নিতে পারেননি। তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম, নাসুম ও মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
Discussion about this post