খেলাধূলা ডেস্ক
এক কথায় মনোমুগ্ধকর এক জয়। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিললেও আফগানিস্তান মাঠের লড়াইয়ে বলতে গেলে দাঁড়াতেই পারেনি। ৬ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।
বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। সেই রান আবার অনায়াসে টপকে যায় সাকিব আল হাসানের দল। বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে দেশের প্রথম ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পান। মূলত সাকিবের কথাতেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তিনি।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। যেখানে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ। বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে কার্যকরী ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। তাই অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার পান মিরাজ। যার কৃতিত্ব তিনি দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
মিরাজ বলেন, ‘অসাধারণ এক মুহূর্ত আমার জন্য। অতীতে প্রচুর পরিশ্রম করেছি আমি। টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দিতে হবে কারণ তার আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। বোলিংয়ের সময় আমি কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। অধিনায়ক আমাকে বলেছে কেবল সঠিক জায়গায় বল করে যেতে। তিনি আমাকে বলেছেন ধারাবাহিক থাকতে এবং নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দিতে। তাই কৃতিত্ব দিতে হবে তাকে। ‘
‘রানের খোঁজে না থেকে আমি বল বাই বল এগিয়েছি। উইকেটে কিছুটা স্পিন ছিল। আমি কেবল সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময়ই আটে ব্যাট করেছি, তাই টপ অর্ডারে ব্যাট করাটা আমার জন্য অসাধারণ এক মুহূর্ত। গত কয়েক ম্যাচে তারা চেষ্টা করেছে টপ অর্ডারে খেলানো তাই এটা আমার জন্য এক অসাধারণ মুহূর্ত। ‘
মিরাজ এখন বাংলাদেশের দলের এমন এক ব্যাটার, তাকে যে পজিশনেই নামানো হোক না কেন প্রমাণ করেছেনই। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন? কী ভাবনা নিয়ে নামেন ব্যাটিংয়ে?
মিরাজ বলেন, ‘আমি চিন্তা করি যেহেতু আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আমার সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আটে নামার চেয়ে ওপরে যেকোন জায়গায় ব্যাটিং করা অবশ্যই ভালো। কারণ, আমি বিশ্বাস করি যে আমি ব্যাটিং পারি। সমস্যাও হয়, তবে সেটা আমি মাথায় নিই না। যেখানেই হোক না কেন, দলের প্রয়োজনে আমাকে ভালো পারফর্ম করতে হবে।’
Discussion about this post