যে ব্যক্তি জ্ঞানের তপস্যা বা সাধনা করেন তাকেই জ্ঞানতাপস বলে। আর এ ধরনের কোনো ব্যক্তির কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথম মাথায় আসে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের কথা। সক্রেটিসের নাম শোনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি এমন এক ব্যক্তি, যিনি সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন জ্ঞানার্জন আর জ্ঞান বিলিয়ে। কিন্তু সক্রেটিস তার জ্ঞান, দর্শন বা মতবাদসমূহ কিছুই লিপিবদ্ধ করে রেখে যাননি। তাতে কি তার নাম ম্লান হয়ে গিয়েছে? না, যায়নি। কেননা তিনি কয়েকজন যোগ্য শিষ্য রেখে গিয়েছিলেন, যারা পরবর্তীতে তার জ্ঞানের মহিমা, দর্শন এবং মতবাদসমূহ বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছেন।
আমাদের এই ছোট আয়তনের দেশটার মানুষগুলো নিতান্ত সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। চিরাচরিত সমাজ ব্যবস্থা এবং প্রথাগত ভূয়োদর্শন বেশি উঁচুতে না ওঠার কিংবা বেশি না বাড়ার উপদেশ দেয় আমাদের জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যু অবধি। তাই, মনের গহীন কোনে সর্বক্ষণ এক আতঙ্ক বাসা বুনেই চলে, আর তা হচ্ছে, বেশি বৃদ্ধি পেলে ক্রুদ্ধ ঝড়ে ভেঙে পড়ার ভয়। এমনকি প্রকৃতিও সর্বদা এ ভয়ে আতঙ্কিত থাকে। তাই আকাশছোঁয়া বৃক্ষের দেখা মেলা যেমন ভার, ঠিক তেমনই এখানে রয়েছে মহৎ ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের অভাব। আতঙ্কিত প্রকৃতিও তাই গড়ে তুলেছে মধ্য, নিম্ন-মধ্য আর একদমই নিম্ন পর্যায়ের অরণ্য আর লোকালয়। তাই নিঃসন্দেহে এই পঞ্চান্ন হাজারের বর্গ মাইলের লোকালয় বা অরণ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন, যিনি মহৎ, যিনি ত্যাগে হয়ে উঠেছেন মহিমাময় অথবা একজন বিস্ময়কর কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন।
সত্যিই কি কঠিন? না, এমন একজন ছিলেন। যিনি সক্রেটিসের ন্যায় সারাটা জীবন অতিবাহিত করেছেন জ্ঞানার্জনে। জ্ঞানের সমুদ্রে ডুবে ছিলেন চিরকাল। যার কাছে জগত-সংসার ছিল গৌণ আর জ্ঞানার্জনটা ছিল মুখ্য। যিনি ছিলেন শিক্ষকদেরও শিক্ষক। এমনই ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক। যাকে পরবর্তীতে জ্ঞানতাপস বলে আখ্যায়িত করা হয়।
যারা অভ্যাসের বশে বইপত্র পড়েন কিংবা সাহিত্যাঙ্গনে বিচরণ করেন, তাদের কমবেশি সবাই-ই প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক স্যারের নাম শোনার কথা। এছাড়াও, তিনি পরপর দুবার বাংলাদেশের ‘জাতীয় অধ্যাপক‘ ছিলেন। কিন্তু প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক বেশিরভাগ মানুষের কাছেই দুর্ভেদ্য এবং রহস্যময়, কেননা জীবদ্দশায় যে পরিমাণ জ্ঞান আহরণ করেছেন, তার সিকিভাগও তিনি লিখে রেখে যাননি, যার জন্য তার দর্শন, মতবাদ, চিন্তাচেতনা কিংবা পান্ডিত্যের রেশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র তার শিক্ষকতা এবং শিক্ষকতা পরবর্তী সময়ে যারা তার সান্নিধ্য লাভ করেছেন তারাই জানেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন, প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক কতটা মহান ব্যক্তি এবং জ্ঞানী দার্শনিক ছিলেন।
মতান্তরে, ১৯১২ সালের পহেলা জানুয়ারি ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জের কলাতিয়া গ্রামে জন্ম হয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের। মতান্তরে বলার কারণ হচ্ছে, জন্মের বিষয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, ১৯১২ কিংবা এর আশেপাশেই ১/২ বছর এদিক-ওদিক হতে পারে। আর তিনি নিজেই নিজের জন্মের তারিখ জানতেন না, তাই একাডেমিকভাবে পহেলা জানুয়ারিকে নিজের জন্মের তারিখ বলে গণ্য করতেন। আইএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য পিতা মৌলভী আব্দুল আলী ব্রিটিশ ভারতের পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। তার মায়ের নাম নান্নু বিবি।
পুলিশের চাকরি বদলীর চাকরি। তাই পিতার বদলীর চাকরির কারণে ছেলেবেলায় নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে পড়াশোনা করেছেন আবদুর রাজ্জাক। তার জন্মের বছর পিতার কর্মস্থল ছিল রংপুর। তাই শৈশবের কিছুটা রংপুরেও কেটেছে। তার পরপরই তারা হুগলি চলে যান। হুগলি জেলার পান্ডুয়ার এক মাদ্রাসায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী এবং সেখানকারই এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীও পড়েন।
মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে আব্দুর রাজ্জাককে আবার কলাতিয়ায় চলে আসতে হয়। কলাতিয়া গ্রামের মাইনর স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত সেই স্কুলেই অধ্যয়ন করেন তিনি। সেই স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং বৃত্তিলাভ করেন। এর মাঝেই প্রফেসর রাজ্জাকের অসুস্থ মায়ের মৃত্যু হয়। বাবা আবার হুগলি চলে গেলে এক চাচার তত্ত্বাবধানে ঢাকার মুসলিম হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। স্কুলের নির্ধারিত ছাত্রাবাস ‘ডাফরিন’ হোস্টেল উঠেন। এখান থেকেই প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
১৯৩১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। স্নাতক পাস করে স্নাতকোত্তরও একই বিষয়ে করেন। কিন্তু নিজেকে যোগ্য মনে না করায় ১৯৩৫ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তিনি সেবছর অংশগ্রহণ করেননি। পরে ১৯৩৬ সালে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ঐ বছরই অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। পরে অবশ্য অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ভেঙে দুটি পৃথক বিভাগ হলে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে চলে যান।
হাসিমাখা মুখে ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলা ছোটখাট এই মানুষটির জ্ঞান ছিল পর্বততুল্য। তিনি তার নিজস্ব ঢঙ এবং বুলিতেই কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন, যেটা পুরোপুরি ঢাকাইয়াও না, আবার গ্রাম্যও না। তিনি ইংরেজিটা বেশ ভালো এবং বিশুদ্ধভাবে বলতে পারতেন, কিন্তু মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দিতেন সবচাইতে বেশি। আর তার ছাত্রদেরও তিনি মাতৃভাষার উপর লেখালেখি করার উৎসাহ দিতেন। তিনি বলতেন,
মাতৃভাষা ছাড়া কোনো জাতি বা কারো উন্নতি করা সম্ভব নয়।
পোশাক-আশাকের ব্যাপারেও তার বাঙালিয়ানা প্রকাশ পেতো। কেননা খদ্দরের পাঞ্জাবী-পায়জামা আর মাঝে মাঝে কাঁধে একটি চাদর কিংবা লুঙি আর কুর্তাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। কেবলমাত্র অতীব জরুরি প্রয়োজন, যেমন- বিলেত গমন বাদে কোট-টাই পরতে তার প্রচুর অনীহা ছিল।
ফুলার রোডের লাল ইটের দোতলা এক বাসায় থাকতেন, যেখানে সবসময় তার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে জ্ঞানের আড্ডা ছিল তার কাছে অত্যন্ত পছন্দের ব্যাপার। জ্ঞানের ভারে ন্যুজ্ব এই ব্যক্তি জ্ঞান বিলাতেই সবচাইতে বেশি ভালোবাসতেন। বই পড়া এবং সংগ্রহ করা বাদে তার আরো দুটি নেশা ছিল, আর তা হচ্ছে বাজার করা এবং রান্না করা। তার বাসায় প্রতিনিয়ত যেসব ছাত্র-ছাত্রীর যাতায়াত ছিল, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই তার হাতের রান্না খেয়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন। তিনি শুধুমাত্র জ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন না, অনেক ছাত্রী, এমনকি অনেক ছাত্রের বউয়ের রান্নার শিক্ষকও ছিলেন। রান্না করার বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল তার। বাজার করতেন বেশ সময় নিয়ে।
প্রায়ই তিনি বলতেন, আমি যেকোনো দেশে গেলেই দুটি জিনিস দেখি। এক কাঁচাবাজার, অন্যটা হলো বইয়ের দোকান। আমার মনে হয়, কাঁচাবাজার আর বইয়ের দোকান সম্ভবত সমাজের অবস্থার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নির্দেশক। যে দেশে বইয়ের দোকান নাই সে দেশে লেখাপড়া খুব হয় তা বিশ্বাস করি না। কাঁচাবাজার দেখলেই বোঝা যায়, দেশের অবস্থা কেমন। বইয়ের দোকানে গিয়ে কী ধরনের বই পাওয়া যায়, কেমন বিক্রি হয়, তা দেখেই দেশের জ্ঞানচর্চার অবস্থা বোঝা যায়। একবার তুরস্কে গিয়েছিলাম। সেখানে বইয়ের দোকানে শতকরা ত্রিশ-পঁয়ত্রিশটা বই কম্যুনিজম সম্পর্কে, শতকরা ত্রিশ-পঁয়ত্রিশটা বই ইসলাম সম্পর্কে। সুতরাং সেই দেশে যে টেনশন থাকবে তা বোঝার জন্য হাফেজ হওয়ার দরকার নাই।
১৯৪০ সালের দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অবস্থা এবং উপমহাদেশের ব্রিটিশ শাসনের শেষ সময়ে অনেক মুসলমান বুদ্ধিজীবীর ন্যায় তিনিও পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। নাজীর আহমেদ সহ আরো অন্যান্যদের সাথে মিলে ‘পাকিস্তান’ নামে একটি স্বল্পায়ু পত্রিকা প্রকাশ করেন। ৫ বছর পর নিজের মেধার স্বীকৃতি এবং যোগ্যতার বলেই আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে অধ্যয়নের সুযোগ পান। তারই সুপারিশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বিনা বেতনের ছুটি মঞ্জুর করেন এবং পাঁচ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
তার চেয়েও বড় কথা, বিশিষ্ট এবং প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড জে লাস্কি আব্দুর রাজ্জাককে তার গবেষণাকাজের তত্ত্বাবধানে নিতে আগ্রহী হন। লাস্কির মতো প্রখ্যাত এবং পন্ডিতজনের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাককে তার শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি ছিল নৈর্ব্যক্তিক। এটি ছিল আব্দুর রাজ্জাকের মেধার স্বীকৃতি। আর তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ভারতের রাজনৈতিক দলসমূহ।
লাস্কির সাথে আব্দুর রাজ্জাকের বেশ শিক্ষক-ছাত্রের সখ্যতাপূর্ণ একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে ছিল স্যারের মেধা, সৌজন্যতাবোধ এবং আন্তরিকতা। এ সময় নাকি পন্ডিত নেহেরু এবং কৃষ্ণ মেনন প্রায় প্রায়ই স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন। বই পড়ার নেশা থেকেই গবেষণা চলাকালে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে Diploma in Librarianship সমাপ্ত করেন।
অবসরের বিনোদন হিসেবে দাবা খেলা ছিল তার বেশ পছন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়টুকু তিনি বই পড়েই কাটাতেন। সন্ধ্যায় দুই ঘন্টা দাবা নিয়ে মেতে থাকতেন। কাজী মোতাহার হোসেন জীবিত থাকাকালীন তিনিই ছিলেন তার দাবা খেলার একমাত্র সঙ্গী। দাবা খেলার বসলে এই দুজনের দুনিয়ার আর কোনো বিষয়ই খেয়াল থাকতো না। এরকম খেলায় মশগুল হয়ে মোতাহার হোসেনের ড্রয়িং রুমের সোফায় বেশ কয়েক রাত কাটিয়েছেন অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। মোতাহার হোসেন গত হওয়ার পরও তিনি দাবা খেলতেন কখনো একা একা অথবা ছাত্র বা শিক্ষকদের সাথে।
দাবার গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক স্যারের স্নেহতুল্য। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাউঞ্জে বসে খোশ মেজাজে গল্পগুজব করাই ছিল আব্দুর রাজ্জাকের অন্যতম বিনোদনের অংশ। একদিন এক ছেলেকে ডেকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এভাবে, এই ছেলে অর্থনীতি খুব ভালো বোঝে। ছেলেটি ছিল নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন!
১৯৫০ সালে আব্দুর রাজ্জাক গবেষণা সন্দর্ভ জমা দেবার আগেই প্রফেসর লাস্কির মৃত্যু হয়। লাস্কির মতো শিক্ষকের মৃত্যুতে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক প্রচন্ড মর্মাহত হন এবং গবেষণাকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। লাস্কির মৃত্যুর পর কর্তৃপক্ষ নবীন অধ্যাপক মরিস জোন্সকে তার সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করে। থিসিসের কাঠামোর সাথে মরিস জোন্সের মতানৈক্য দেখা যাচ্ছিল। আর তাছাড়া অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের নিজের পান্ডিত্য এবং মেধার ওপর ছিলেন আস্থাশীল এবং আত্মবিশ্বাসী। এর সাথে প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যু মিলিয়ে থিসিসের কাজ শেষ পর্যায়ে এনেও তিনি সিদ্ধান্ত নেন থিসিস জমা না দেয়ার।
তারপরও বন্ধুবান্ধবের অনুরোধে তিনি থিসিস জমা দেন, কিন্তু পরীক্ষকগণ থিসিসের ফুটনোট সুসংবদ্ধ নয় বলে অভিযোগ তোলেন এবং তা পুনরায় ঠিক করে জমা দেয়ার আহবান জানান। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে যোগ দেয়ার আহবান জানায়।
এছাড়া ১৯৬৮ সালে অক্সফোর্ডের আমন্ত্রণে তিনি ব্যালিওল কলেজে যান এবং ১৮ ও ১৯ শতকের ইন্দো-ব্রিটিশ সম্পর্কের (Indo British Relations during 18th and 19th Centuries) উপর ডকুমেন্টেশন এডিটিংয়ের কাজ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অনুপস্থিতির কারণে তাকে ১৫ বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। এ সময় তিনি ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যান। পরের বছর তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। জাতীয় শিক্ষা কমিশনের খন্ডকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তারপরের বছরই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট প্রদান করে। এর দুই বছর ১৯৭৫ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মানে ভূষিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
Discussion about this post