শিক্ষার আলো ডেস্ক
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত নতুন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির পক্ষ থেকে তথ্যসমূহ অগ্রিম সংগ্রহের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে নির্দেশনা ও উপবৃত্তির আবেদন ফরম প্রকাশ করা হয়েছে।
উপবৃত্তি কর্মসূচি থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ ও সমমান শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় উপবৃত্তি প্রাপ্তির আবেদন, নির্ভুলভাবে তথ্য এন্ট্রি ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অগ্রিম সংগ্রহ করা বিশেষ প্রয়োজন। উপবৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্য সব শিক্ষার্থীর তথ্য এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করার প্রক্রিয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করার জন্য উপবৃত্তি নির্ধারিত আবেদন ফরম অনুযায়ী তথ্য অগ্রিম সংগ্রহ করার জন্য বলা হলো।
উপবৃত্তি দিতে একাদশের নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেসব তথ্য অগ্রিম সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে তা হলো, শিক্ষার্থীর কর্তৃক সঠিকভাবে পূরণ করা উপবৃত্তির আবেদন ফরম।
শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সভাপতিত্বে গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্রের তথ্য যাচাই বাছাই করবে। কমিটির সদস্যরা প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর বাড়ি পরিদর্শন করে তথ্য যাচাই করবে। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের কমিটিতে উপকারভোগী নির্বাচনের কোনো অসত্য তথ্য দিলে বা অনিয়ম করা হলে তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ হলো-
শিক্ষার্থীদের ১৭ সংখ্যা বিশিষ্ট জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি, ১০ বা ১৭ সংখ্যা বিশিষ্ট বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্য ও ফলাফলের ফটোকপি, শিক্ষার্থীর অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে খোলা সচল ও বৈধ মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর (বাবা অভিভাবক হলে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, মা অভিভাবক হলে মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে)।
ট্রাস্ট জানিয়েছে, একই মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর একাধিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। স্কুল ব্যাংকিং বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার নাম এন্ট্রি করতে হবে। এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার নাম দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে না। মেধাবৃত্তি বা শিক্ষাবৃত্তি বা শিক্ষাভাতা পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। আবেদন করলেই উপবৃত্তি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
Discussion about this post