বিশেষ প্রতিবেদক
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিনে পয়সায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। বিনে পয়সায় গ্রামের মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নাটোরের বড়াইগ্রামের শিক্ষিকা শেফালী খাতুন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এ সেবা পেয়ে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। দ্রুত হাসপাতালে নিতে না পারায় আত্মীয়ের মৃত্যু। এই ঘটনা ভীষণ নাড়া দেয় বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম দোগাছির স্কুলশিক্ষক শেফালী খাতুনকে। সেই ভাবনা থেকে ছয় বছর বেতনের টাকা জমিয়ে, গত দুই মাস ধরে চালু করেন ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। চব্বিশ ঘণ্টা চালু থাকায় উপকৃত হচ্ছেন আট গ্রামের মানুষ।
সহযোগীতা পেলে আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ইচ্ছা শেফালী খাতুনের। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তার স্বামী। মেরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেফালী খাতুন জানান, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বা’লানি খরচ এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকের বেতন সবকিছুই তিনি নিজেই বহন করেন। মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন থেকেই এ কাজ শুরু করেন শেফালী খাতুন। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যেই এ সেবা দেয়া হলেও ভবিষ্যতে সেবার পরিধি আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে শেফালী খাতুনের। শেফালী খাতুনের স্বামী ময়লাল হোসেন জানান, মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে তারা তৃপ্তি পান।
স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন যদি পাশে দাঁড়ায় তাহলে কাজের গতি আরও বাড়ানো সম্ভব।নাটোরের বড়াইগ্রামের উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, এ কাজের মধ্য দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শিক্ষিকা শেফালী খাতুন। গেল দুই মাসে ৪৫ জন রোগী এ সেবা নিয়েছে এবং দু’টি ম’রদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ
Discussion about this post