খেলাধূলা ডেস্ক
শচীনের পাশে দাঁড়িয়েই ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তরুণ কোহলি। এরপর বেলায় বেলায় অনেক দিন পার হয়েছে। কোহলি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। আর আজ তো ইতিহাসেরই অংশ হতে পারতেন ভারতের এই ব্যাটার। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে কোহলি ফিরলেন ৯৪ বলে ৮৮ রান করে।
এক যুগ পর কোহলি আবার ফিরলেন মুম্বাইয়ে। যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। সেই ওয়াংখেড়েতেই নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি। আর কী কাকতালীয় ব্যাপার। সেদিনের ফাইনালের মত আজকেও ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। বিরাটের উপর আজ চাপ ছিল। সেই চাপ সামাল দিয়ে খেলছিলেন দারুণ এক ইনিংস। সেঞ্চুরি পেলে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (৪৯) হতে পারতো তার।
ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের সবচেয়ে বেশি ৪৯ শতকের রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষাও তাই বাড়ল কোহলির। তার শতক ৪৮টি। যার একটি করেছেন চলতি বিশ্বকাপে।
হাজার রানের মাইলফলক
আক্ষেপকে সংগী করেই কিন্তু অন্যদিকে গড়া হয়ে গেছে আর একটি রেকর্ড ! শ্রীলঙ্কার অফ স্পিনার মাহিশ থিকসানার বল লং-অনে খেলে সহজেই সিঙ্গেল নিলেন ভিরাট কোহলি। চলতি বছর ওয়ানডেতে হাজার রান পূর্ণ হয়ে গেল ভারতীয় তারকার।
এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রানের মাইলফলক এ নিয়ে ভিন্ন আট বছরে স্পর্শ করলেন কোহলি। ভেঙে দিলেন শচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। এই কিংবদন্তি হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ভিন্ন সাত বছরে।
টেন্ডুলকার প্রথমবার হাজার রান করেন ১৯৯৪ সালে। সেবার ২৫ ইনিংসে করেন ১ হাজার ৮৯ রান। এরপর ১৯৯৬ সালে ৩২ ইনিংসে ১ হাজার ৬১১, ১৯৯৭ সালে ৩৬ ইনিংসে ১ হাজার ১১, ১৯৯৮ সালে ৩৩ ইনিংসে ১ হাজার ৮৯৪, ২০০০ সালে ৩৪ ইনিংসে ১ হাজার ৩২৮, ২০০৩ সালে ২১ ইনিংসে ১ হাজার ১৪১, ২০০৭ সালে ৩২ ইনিংসে এক হাজার ৪২৫ রান করেন তিনি।
কোহলির হাজার রানের যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। সেবার ৩৪ ইনিংসে তিনি করেন ১ হাজার ৩৮১ রান। এরপর ২০১২ সালে ১৭ ইনিংসে ১ হাজার ২৬, ২০১৩ সালে ৩০ ইনিংসে ১ হাজার ২৬৮, ২০১৪ সালে ২০ ইনিংসে ১ হাজার ৫৪, ২০১৭ সালে ২৬ ইনিংসে ১ হাজার ৪৬০, ২০১৮ সালে ১৪ ইনিংসে ১ হাজার ২০২, ২০১৯ সালে ২৫ ইনিংসে ১ হাজার ৩৭৭ রান করেন তিনি।
এ বছরে হাজার ছুঁতে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোহলির প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। ২০ ইনিংসে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন তিনি।
Discussion about this post