শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ওয়ান হেলথ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক ২য় আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামের ঢাকা ঘোষণায় জানানো হয় যে, সিম্পোজিয়ামের ৩য় আসর অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ যৌথভাবে এই সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স-এর অধ্যাপক ওয়াতারু তাকুচি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পুত্রা-এর অধ্যাপক আব্দুল রশিদ বিন মোহাম্মেদ শরীফ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিম্পোজিয়াম সফলভাবে সম্পন্ন করায় আয়োজকসহ অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের ফলে বিভিন্ন দেশের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, উদ্ভাবন ও গবেষণা বিনিময়ের মাধ্যমে সকলেই সমৃদ্ধ হয়েছেন। উপাচার্য আগামীবছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য সিম্পোজিয়ামের ৩য় আসরের সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন-ঢাবি আইএসআরটি-এর সুবর্ণজয়ন্তী পদক পেলেন মুহিতুল এবং ফাহিম
সিম্পোজিয়ামে সেরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করায় ৫জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- বাংলাদেশের সারা সুলতানা, মো. শাহরিয়ার সরকার ও মো. শাহিল রফিক, জাপানের নানামি ইগহিশিতা এবং মিয়ানমারের খিন মিয়াত খেও।
উল্লেখ্য, এই সিম্পোজিয়ামে ১২টি সেশনে ১০৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড গ্রীণ রিকোভারি বিষয়ক ৩৪টি, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথ্ রিসার্চ ইন এশিয়া বিষয়ক ২৪টি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাসটেইনেবল বিল্ট এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক ১৮টি এবং আরবান সেফটি এন্ড ডিজাস্টার মিটিগেশন বিষয়ক ২৯টি। এতে জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post