শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষাক্ষেত্রে যত টাকা লাগে আমরা দেব। আন্তর্জাতিক যত নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয় আছে- তারা কীভাবে শিক্ষা দেয়? কী কারিকুলাম শিখায়? কীভাবে? কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে? আমরা সেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই। পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা (দেওয়া), যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
নতুন বছর ২০২৪ সালের প্রাক্কালে বিনামূল্যে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শেখ হাসিনা জানান, তিনি চান- আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়ে উঠুক এবং সেটা ছোটবেলা থেকে। সেইসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ভোকেশনাল ট্রেনিংকে তার সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন একটি জাতি আমরা গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য যা যা করণীয় এরই মধ্যে আমরা করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানের যুগ। আমরা কখনো পিছিয়ে থাকবো না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। এজন্য আমরা চাই এই ছোট্ট বয়স থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার শিখবে প্রযুক্তি শিখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের শুধু স্বাধীন দেশ দেননি, স্বাধীন জাতি হিসেবে আমার উন্নত সমৃদ্ধ গড়তে পারি সেভাবে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। খুব সময় কম পেয়েছিলেন। সেই অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান দিয়েছিলেন। সংবিধানের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করে দেন। আমাদের যতগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল সেগুলো তিনি জাতীয়করণ করে সব শিক্ষকদের সরকারি চাকরির মর্যাদা দেন। সংবিধানে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে দেন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে যে টাকা পয়সার খরচ সেটাকে জাতির পিতা খরচ হিসেবে মনে করতেন না, মনে করতেন এটাও এক ধরনের বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন :অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রোফাইলে বাংলাদেশের আরও ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের একটা শিক্ষা দেই, আমাদের কোনো সম্পদ আমরা রাখবো না, একটাই সম্পদ তোমাদের সঙ্গে শিক্ষা। পড়াশোনা করে তো নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। ওরা সেটাই করেছে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, কাজেই এই ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে ছোট ছেলে মেয়েরাই এখন অনলাইনে সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ওয়াইফাই কানেকশন সারা বাংলাদেশে করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা উত্থাপন করছি। দ্বিতীয়টা করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্যাটেলাইট দ্বিতীয়টা এলে আরো বেশি সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে। ব্রডব্যান্ড কানেকশন ও পায় ইউনিয়নে চলে আসছে। আমি চাই আমাদের প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পন্ন জাতি গড়ে উঠবে। আর সেটা ছোটবেলা থেকে, সেই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ভোকেশনাল ট্রেনিং কম গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আগামী দিনে এই ছেলেমেয়েরাই তো একদিন আমার মত প্রধানমন্ত্রী হবে মন্ত্রী হবে বা ভালো শিক্ষক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুমুখী শিক্ষা দিয়ে জাতিকে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের সামনে ভবিষ্যৎ হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্মার্ট দক্ষ জনগোষ্ঠী।
Discussion about this post