অনলাইন ডেস্ক
চীনের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার একটা বড় পরীক্ষা নিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারি। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। চীনের গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নিজেদের দুর্বলতা ধরা পড়ে গেছে বলে স্বীকার করেন। খবর বিবিসির
করোনা মোকাবিলায় চীনের ব্যর্থতা নিয়ে বিদেশে টানা সমালোচনার পর অবশেষে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের পরিচালক লি বিন এ নিয়ে কথা বললেন। একই সঙ্গে গণস্বাস্থ্য সেক্টরে রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যপ্রবাহ অবাধ ও সাবলীল করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লি বলেন, ‘এই মহামারিটা ছিল চীনের জন্য ভয়ানক এক চ্যালেঞ্জ। এটা মোকাবিলা করতে গিয়ে গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা আমাদের দুর্বলতাগুলো বুঝতে পেরেছি এবং কী করতে হবে সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সূত্রগুলো ধরতে পেরেছি।’
চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে , তারা উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরও সাড়া দিতে দেরি করেছে এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোকেও সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছে। একই অভিযোগ উঠেছে নিজের দেশেও।
চীন অবশ্য এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত দল গঠনের প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছে। এপ্রিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রতিবেদনে সঙ্কটের শুরুতে চীনের অমনোযোগ ও ভুল তথ্য ছড়ানোকে দায়ী করা হয়েছে।
উহানে লি ওয়েনলিয়াং নামের একজন ডাক্তার করোনায় মারা যান। সঙ্কটের শুরুতে তিনি নিজের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করেন। কিন্তু ওপর থেকে তাকে ধমক দিয়ে ‘ভুলভাল’ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মোতাবেক জানা যায়, করোনাভাইরাসে চীনে ৪ হাজার ৬৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত মারা গেছে পৌণে ৩ লাখ মানুষ। আক্রান্ত ৪০ লাখ।
Discussion about this post