শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টলার কৃতী সন্তান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গভবনের শপথ অনুষ্ঠান শেষে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ডা. দীপু মনি। তিনি নতুন মন্ত্রী সভার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। বিগত ৫ বছরে উপমন্ত্রী থাকাকালীন সততা ও সাংগঠনিক দক্ষতার পুরস্কারস্বরুপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছাতেই মহিউদ্দীনপুত্র নওফেলকে এবার উপমন্ত্রী থেকে সরাসরি মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়েছে, বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম তথা সারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই নেতা এবং মন্ত্রী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই তরুণ রাজনীতিবিদ।
এর আগে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিগত মন্ত্রিসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার নওফেল।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সম্ভ্রান্ত ও প্রথিতযশা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ব্যারিস্টার নওফেল ১৯৮৩ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা মরহুম আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন।
তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চট্টগ্রামের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে তিন-তিনবার বিজয়ী হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে সারা দেশব্যাপী প্রশংসিত হন।
নওফেল লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্স থেকে স্নাতক পাশ করে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি সম্পূর্ণ করেন। কাজ করেন ঢাকা বারের আইনজীবী হিসেবেও। মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সর্বকনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
পারিবারিক ধারাবাহিকতায় মহিবুল হাসান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে শৈশবই সম্পৃক্ত হন। “আমরা রাসেল” নামক একটি শিশু-কিশোর সংগঠনে তিনি তার পিতার উৎসাহে সম্পৃক্ত হয়ে শেখ রাসেল হত্যার বিচারে শিশু-কিশোরদের সমাবেশ ও সৃষ্টিশীল কাজের সাথে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন-পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
তিনি তার পিতার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমসমূহ দেখার এবং সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পান। পরবর্তীতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন এবং এক-এগারোকালীন সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর ২০১২ সালে আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনকালে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সম্পৃক্ত করার জন্য যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী উদ্যোগী হন। এরপর ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়।
২০১৬ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ষোড়শ কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। নওফেল ঢাকা বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।
সততা ,দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সামষ্টিক মূল্যায়নে উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ শিক্ষামন্ত্রী হওয়াতে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকল মহল মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অভিনন্দন ও প্রশংসা জানিয়েছেন।
Discussion about this post