খেলাধূলা ডেস্ক
আরও একবার ফুটবলে নিজের অমরত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল যাদুকর লিওনিল মেসি। ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি আরও একবার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। টানা দ্বিতীয় এবং রেকর্ড তৃতীয়বার ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। মেসি নিজে ছিলেন না অনুষ্ঠানে। তার বদলে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন থিয়েরি অঁরি।
যদিও এক সিজনে ৫২ গোল করা ম্যানচেস্টার সিটির হালান্ডের ধারকাছেও ছিলেন না এলএম টেন। তার গোল ছিল ১৯টি। তবুও আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে পেছনে ফেলে ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দা বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফা এর বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে।
এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী স্ট্রাইকার হালান্ডকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে সিটির জার্সিতে নরওয়ের তারকার পারফরম্যান্স ছিল রীতিমতো চোখধাঁধানো। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৩৬ গোল করেন হালান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ক্লাব রেকর্ড ৫২ গোল। সেরার জন্য বিবেচিত সময়ে ৩৩ ম্যাচে তার গোল ছিল ২৮টি।
আরও পড়ুন: আইএফএফএইচএস বর্ষসেরা দলে মেসি, নেই রোনালদো !
ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরস্কারটি জিততে হালান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসির। ভোটাভুটিতে দুইজনই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু (নিয়মের ধারা অনুযায়ী) জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রথমে থেকে এগিয়ে যান মেসি। এমবাপে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। তাই এবার বুঝি ভালোবাসারই জয় হলো !বিশ্বজুড়ে মেসি ভক্তদের যুক্তি, ভালোবাসা কোন যুক্তি-পরিসংখ্যানের ধার ধারে না।
সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সময়ে পিএসজির লিগ আঁ শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন মেসি। প্যারিসে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে লিগে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ছিলেন লিগ আঁর মৌসুম সেরা দলে। গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
পিএসজি ছেড়ে গত জুলাইয়ে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানেও গোলের পর গোল করে তিনি রাখেন ছাপ, বিবেচিত সময়ে দলটির হয়ে ৭ ম্যাচে করেন ১০ গোল। দলটির হয়ে লিগস কাপ জিতে ৪৪ ট্রফি নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড় হয়ে যান মেসি। এসবের স্বীকৃতি হিসেবে আরেকবার ফিফা বর্ষসেরা হলেন তিনি। এবারের ব্যালন দ’রও জেতেন মেসি।
Discussion about this post