শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা পুনরায় চালু হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ব্যক্তি প্রচার করছেন যে, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে আগের নিয়মে জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও সবার প্রতি অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি শিক্ষা বিষয়ে খোলা বিভিন্ন ফেসবুক পেজে সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কিছু পোস্ট দেওয়া হয়। তাতে লেখা, ‘ব্রেকিং! নতুন কারিকুলাম আবার ফিরে যাচ্ছে আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে! ২০২৪ ব্যাচ থেকে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা।’
এদিকে, অসমর্থিত সূত্রে একই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা শেয়ার করছেন। দ্রুতই এ তথ্য ফেসবুক-ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ ব্যবহারকারী ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামের একটি ফেসবুক পেজের পোস্টকে সোর্স বা সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে ভিত্তিহীন এ তথ্যটি শেয়ার করছেন।
তবে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামের এ পেজটি কোনো শিক্ষা বোর্ডের কেউ পরিচালনা করেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যে বা যারা এ পেজ চালান তারা সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর একটি বক্তব্য বিকৃত করে এ তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর এটাকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে সচেতনভাবে বিরত থাকতেও বলেছে মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য নতুন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছিলেন, তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, আমরা তাতে পরিবর্তন আনব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পদ্ধতিতেও যদি বেশি চ্যালেঞ্জ আসে, প্রয়োজনে সেখানেও পরিবর্তন আসতে পারে।
Discussion about this post