ক্রীড়া ডেস্ক
শোয়েব আকতারের তখন পড়তি সময় আর ক্যারিয়ার শুরু করা তামিম ইকবাল ফুটছেন টগবগিয়ে। ততদিনে ২০০৭ বিশ্বকাপে জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে নামও কুড়িয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ভয়ডরহীন তামিমেরও প্রথমবার শোয়েবকে মোকাবেলা করতে গিয়ে ভয়ে বুক কেঁপে উঠেছিল। তামিমের মনে হয়েছিল শোয়েব বোধহয় তাকে মেরেই ফেলবেন!
সাবেক তিন অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে নিয়মিত লাইভ আড্ডায় আসেন তামিম। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে আসে শোয়েবের কথা।
খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বে মুলতান টেস্টে বাংলাদেশের জিততে জিততে হারতে যাওয়া টেস্টের আক্ষেপ দিয়ে শুরু।
সেই সিরিজে শোয়েব ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। বিশ্বের দ্রুততম বোলার হিসেবে যেকোনো দলের জন্যই আতঙ্ক। মুলতানে শোয়েব খেলেননি। তার আগের পেশোয়ার টেস্টে দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। তার তোপে ভাল খেলতে থাকা বাংলাদেশের ইনিংসে নেমেছিল ব্যাটিং ধস।
শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে টেলে এন্ডারে লড়েছিলেন সুজন। শোয়েবের গোলার সামনে ২৫ রানের একটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন তিনি। শোয়েবকে খেলার ভীতিকর সেই অভিজ্ঞতা স্মরণ করে সুজন বলেন,‘আমি অনেককেই বিশ্বাস করাতে পারি না, শোয়েবের প্রথম বল আসলে আমি চোখেই দেখিনি।’
এরপর তামিম জানান শোয়েবকে খেলার তার অভিজ্ঞতার কথা। ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বরে কেনিয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শোয়েবকে প্রথম খেলেন তিনি। শোয়েবের বলেই আউট হন ৪ বলে ১ রান করে। ২০১০ সালে এশিয়া কাপে আরেকবার শোয়েবকে সামনে পান তামিম, সেটাই শেষ দেখা।
সেই দুই সাক্ষাতেই তামিমের ভীতি জাগানিয়া স্মৃতি, ‘আমি সবসময়ই বলি, অনেক ফাস্ট বোলারকে খেলেছি, ১৫০ কিলোমিটার গতির বল খেলেছি অনেক, কিন্তু ব্যাটিং করতে গিয়ে একবারই ভয় পেয়েছি, যখন শোয়েব আখতারকে প্রথম খেলেছি। ওই দিন মনে হয়েছে, সে আমাকে মেরে ফেলবে। এতটাই ভীতি জাগানিয়া ছিল তার বোলিং।’
Discussion about this post