শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিলুপ্তপ্রায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধারণ করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাউথ এশিয়ান স্কুলে উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব ২০২৪।গেলো ১৩ ফেব্রুয়ারী অনষ্ঠিত এই উৎসবে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দেশীয় পিঠা দি য়ে নিজ নিজ স্টলসমূহে পসরা সাজায় । নানা রং বেরংয়ের ফুল ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত স্টলগুলো ছিলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর!
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক প্রশিক্ষক, চিন্তক ও গবেষক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন শিশির এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. গাজী গোলাম মাওলা, অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক নাজিম উদ্দিন। স্কুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেসাথে অভিভাবক এবং অন্যান্য শুভানুধ্যায়ীগণও সমবেত হন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. শিশির বলেন, প্রতিবছর বাংলার আবহমান ঐতিহ্য পিঠাপুলির উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিশুকিশোরদের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির ধারা বহমান রাখার যে প্রয়াস সাউথ এশিয়ান স্কুল রাখছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।আজকের এই তরুণরাই এই সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রধান অতিথি বলেন,বাঙ্গালীর সংস্কৃতি কৃষকের সংস্কৃতি।কৃষকের ঘরে ঘরে তৈরী পিঠা তাই আমাদের সংস্কৃতির এক অনিবার্য অনুষংগ। কিন্তু আধুনিকতার নামে পিঠাপুলির ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সাউথ এশিয়ান স্কুলের পিঠা উৎসবের এই আয়োজনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
এরপর স্টল ঘুরে দেখতে গিয়ে পিঠার ধুম দেখে চমকিত হন অতিথিবৃন্দ! ভাপা পিঠা, চুঙা পিঠা, বিরইন চালের পিঠা, মুগপুলি পিঠা, কলসি পিঠা, চন্দ্র পুলি, চিতই পিঠা,পাটিসাপটা, পোয়া, মালপোয়া, হরেক রকমের পুলিপিঠা, নকশি পিঠা, মই পিঠা, দুধ চিতই, গোলাপ পিঠা, ছিপ পিঠা, খিরসা পুলি, ফুল পিঠা, ঝাল পিঠা, সন্দেশ, ঝিনুক পিঠা, ক্ষীর কুলি, তেলের পিঠা, জামাই পুলি, তিল পনির, মোরগ পিঠা, সুন্দরী পাকন, মালাই পিঠা, পাতা পিঠা, রসফুল, লবঙ্গ পিঠা, খেজুর কিন্নি আরও কত কি ছিলো !ছোট্টসোণামনিরা অনেকেই ওদের জীবনে প্রথম দেখা পিঠাপুলি খেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে।
সফল এই অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: সালেহ উদ্দীন, একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
Discussion about this post