বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশনীতে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়(ববি)। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রকাশনী সংস্থা ‘নেচার’ কর্তৃক পরিচালিত ‘নেচার’ ইন্ডেক্স ২০২০ এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ইলিয়াস মাহমুদের গবেষণা পত্র বিশ্বমানের এই স্বীকৃতি অর্জন করলো।
গত ৩০ এপ্রিল নেচার ইনডেক্স চলতি বছরের গবেষণা প্রকাশনী উন্মুক্ত করে।
ঢাকায় মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ইলিয়াস মাহমুদের ‘পিট লেট্রিন (আধপাকা টয়লেট) থেকে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ কমানো’ বিষয়ক একটি গবেষণা পত্র তৈরি করে। যেটি আমেরিকান ক্যামিকেল সোসাইটি (এসিএস) থেকে প্রকাশিত গবেষণা পত্রিকা ইনভায়রনমেন্টাল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে গত বছর প্রকাশিত হয়েছিলো। সেই গবেষণাপত্রের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নেচার ইন্ডেক্সে অন্তর্ভুক্ত হয়। যার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে বিশেষ সম্মাননা।
নেচার ইন্ডেক্স হচ্ছে গবেষক ও তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠনের সেতু। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা প্রকাশনী সংস্থা ‘নেচার’ প্রতিবছর প্রাকৃতিকভাবে মানুষ কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অথবা রোগ বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে তা নিয়ে মানসম্পন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশ করে থাকে।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে বাংলাদেশ থেকে ৩৭টি গবেষণা পত্র জায়গা পেয়েছে এ বছর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪টি গবেষণা পত্র আইসিডিডিআরবি এর অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। এরপর ৮টি গবেষণা পত্র নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও ৩টি আছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের। অন্যদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ১টি করে গবেষণা পত্রে অন্তর্ভুক্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস মাহমুদ জানান, ‘আমার গবেষণা কাজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি খুবই গর্বিত। আশা করি এই অর্জন সামনের গবেষণা কাজকে অারো বেশি উৎসাহিত করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান এই সংকটময় সময়ে এমন একটা সংবাদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মানিত করেছে। সংবাদটি পাবার পর ওই শিক্ষককে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানো হয়েছে। আমি মনে করি এই অর্জন অন্যদেরকেও গবেষণা কাজে উৎসাহিত করবে।’
Discussion about this post