শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে এই ভর্তি চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ফলাফলে ৫ হাজার ৩৮০ জনকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় ৫ হাজার ৭২ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৬৯ জন ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী এ ফল প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা- আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি হতে ২৪ ফেব্রুয়ারি অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট
কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি ও মেডিকেল বোর্ড যথাক্রমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন।
শিক্ষার্থীগণ ভর্তির পর আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ তিনবার নিয়মানুযায়ী মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচিত হবে। আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্যাদির স্বপক্ষে পরীক্ষার্থী কর্তৃক প্রমাণক প্রদানে ব্যর্থ হলে বা প্রদানকৃত তথ্য অসত্য বলে প্রমানিত হলে যে কোনো সময় তার ভর্তি বাতিলপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভর্তি বিষয়ক অন্যান্য তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েব সাইট http://www.mefwd.gov.bd/ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dgme.gov.bd স্বা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd ও টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ এর ওয়েবসাইট http://dgme.teletalk.com.bd হতে জানা যাবে। এ ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তর থেকে জানা যাবে।
ভর্তির সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
১. ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
২. এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড।
৩. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিন্ট/নম্বরপত্র।
৪. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র।
৫. স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র।
৬. চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি।
৭. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণ করা হবে।
৮. পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র।
Discussion about this post