নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাকরি তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। তাই তারা আপাতত টাইম স্কেল পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা জাতীয় বেতন স্কেলে তৃতীয় শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল দেয়ার বিষয়টি আলাদা বিধান থাকায় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বাস্তবায়ন অনুবিভাগের উপসচিব রওনক আফরোজা সুমা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মার্চ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে বিধায় দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিকালের সাথে তৃতীয় শ্রেণির চাকরিকাল গণনা করে তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৯ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক টাইমস্কেল প্রাপ্য হবেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, টাইম স্কেল প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ৭(২)অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া জাতীয় বেতন স্কেলে ২য় শ্রেণির চাকরিজীবীদের জন্য ৮ বছর ও ১২ বছরে মোট দুইটি টাইমস্কেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৮ বছর, ১২ বছর এবং ১৫ বছরে মোট তিনটি টাইমস্কেল দেয়ার বিধান উল্লেখ করা হয়েছে।
সে হিসেবে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস থেকে কোন প্রধান শিক্ষকের চাকরির ৮ বছর এখনও পূর্ণ হয়নি। এদিকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া চাকরি (বেতন ভাতাদি) আদেশে একই পদে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরির ১০ বছর পূর্তি এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
Discussion about this post