নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি বেহাত হওয়া ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে । মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিসহ সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য বা তালিকা সংরক্ষণের অনুশাসন জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
একই সাথে জরুরিভিত্তিতে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামীয় জমি নামজারি-জমাখারিজসহ হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণের জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আদেশ জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও প্রতিষ্ঠানের নামীয় জমি এখনও নামজারি ও জমাখারিহ করা হয়নি। নামজারি ও জমাখারিজ না করার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনাকাঙ্খীত মামলার উদ্ভব হচ্ছে। নামজারি না হওয়ার কারণে কিছু অসাধু চক্রের হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি বেহাত হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে।
তাই, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের জমি পরিমান, বিবরণ ,খতিয়ান, নামজারি ও জমাখারিজ, ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা, জমির দলিল ও বাস্তব দখলের কাগজপত্র হালনাগাদ করে একটি ফাইল সংরক্ষণ করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একইসাথে জটিলতা এড়াতে জরুরিভিত্তিতে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামীয় জমি নামজারি ও জমা খারিজসহ হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে একটি রেজিস্ট্রার সংরক্ষণের জন্য সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিসহ সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য বা তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষণে অনুশাসন দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post