মুয়াজ মাহি
ফুটবলে বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি ফরমেশন হলো ৪-৩-৩। এই ফরমেশনে এটাকিং রেস্পন্সিবলিটি অনেকটাই ন্যস্ত থাকে ফ্রন্ট ৩ এর উপর। ফ্রন্ট ৩ এ দুইপাশে থাকে দুইজন উইঙ্গার এবং মাঝে থাকে একজন নাম্বার নাইন। এই ফ্রন্টের ৩ জনের ভূমিকা একেক কোচের সিস্টেমে থাকে একেক রকম। আর এই ফ্রন্ট ৩ এর সাফল্যের উপরেই অনেকটা নির্ভর করে দলের সাফল্য।
বার্সার বড় বড় সাফল্যের বেশিরভাগ এসেছে ৪-৩-৩ ফরমেশনে ও ৪-৩-৩ এর এটাকিং ট্রায়োর উপর নির্ভর করে। রাইকার্ডের সময় রোনালদিনহো-ইতো-মেসি ট্রায়ো, পেপের সময় হেনরি-ইতো-মেসি এবং ভিয়া-মেসি-পেদ্রো ট্রায়ো এর উপর নির্ভর করে বার্সা জিতে তাদের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ উচল। টিটো ভিলানোভার আন্ডারে ২০১২-১৩ সিজনে ঐ ভিয়া-মেসি-পেদ্রো ট্রায়োর কল্যাণে বার্সা ১০০ পয়েন্ট নিয়ে লীগ জিতে৷ কিন্তু ঐ সিজন পর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে টিটো বার্সা ছাড়েন। ভিয়াও ছাড়েন বার্সা। টিটোর স্থলাভিষিক্ত হন জেরার্ডো মার্তিনো। বার্সা বোর্ড তখন ভিয়ার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে একজন তরুণ তুর্কির খোঁজে।
ঐ সময় ব্রাজিলের লীগে সান্তোসের জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছিলেন ২১ বছর বয়সী তরুণ এক লেফট উইঙ্গার, নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র। ২০১০ সালে বেস্ট সাউথ আমেরিকান প্লেয়ারের র্যাংকিং এ ৩য় হওয়ার পর থেকেই তার দিকে লক্ষ্য রাখা শুরু করে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো। ২০১০ সালে ওয়েস্টহাম ও চেলসির অফার রিজেক্ট করে দেন। এরপরের টানা দুই বছর বেস্ট সাউথ আমেরিকান ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড। এর মধ্যেই ২০১১ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে বার্সার মুখোমুখি হয় নেইমারের ক্লাব সান্তোস। সান্তোস ঐ ম্যাচে ৪-০ তে হারলেও নেইমারের উপর চোখ রাখা শুরু করে বার্সা বোর্ড। অবশেষে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৩ সালে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সায় আসেন নেইমার। এর মাধ্যমে এমএসএন ট্রায়োর দুইজনের বার্সায় আসা সম্পন্ন হলো, কারণ মেসি তো ছোটবেলা থেকেই বার্সায়।
২০১৩-১৪ সিজনটা বার্সার জন্য খুব একটা ভালো যায়নি৷ নেইমারও ঐ সিজন শেষ করেন বার্সার সাথে মানিয়ে নিতে। ঐ সিজন পর স্যাক হন কোচ জেরার্ডো মার্তিনোও। নতুন কোচ হিসেবে আসেন লুইস এনরিকে। ম্যানেজমেন্টেও আসে চেইঞ্জ। নতুন ম্যানেজমেন্ট ২০১৪ সালের ১১ জুলাই লিভারপুল থেকে ফর্মের তুঙ্গে থাকা উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজকে ৫ বছরের কন্ট্রাক্টে ৮২.৩ মিলিয়ন ইউরোতে সাইন করেন। এরইসাথে বিশ্বের অন্যতম সেরা এটাকিং ট্রায়ো MSN গঠন সম্পন্ন হয়।

MSN এর তিনজনকেই মাঠে একসাথে দেখার জন্য ফুটবল ফ্যানদের ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কারণ ২০১৪ বিশ্বকাপে কিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে(!) ৪ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন সুয়ারেজ। নেইমারও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মেরুদন্ডে আঘাত পেয়ে খেলার বাইরে ছিলেন প্রায় ২ মাস। ১৩ সেপ্টেম্বর বিলবাও এর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরেন নেইমার। ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর বার্নাব্যুতে এল ক্লাসিকোতে প্রথমবার MSN ট্রায়ো একসাথে মাঠে নামেন। ঐ ম্যাচের প্রথম গোলটি করে নেইমার MSN এর গোল উৎসবের সূচনা করেন, যদিও ম্যাচটি বার্সা ৩-১ গোলে হেরে যায়।
MSN ত্রয়ীর তিন জনকেই প্রথমবার জ্বলে উঠতে দেখা যায় ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ৩-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটিতে ৩ টি গোলেই সরাসরি অবদান রাখেন মেসি, নেইমার ও সুয়ারেজ। ম্যাচের ১২ মিনিটে সুয়ারেজের এসিস্টে গোল করেন নেইমার, ৩৫ মিনিটে গোল করেন সুয়ারেজ, এসিস্টদাতা মেসি। ৮৭ মিনিটে গোল করে ষোলকলা পূর্ণ করেন মেসি।
২০১৪/১৫ সিজনে বার্সার ট্রেবল জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলো গোলমুখের সামনে এই ত্রয়ীর ভয়ংকর রূপ। ৩ জন মিলে ঐ সিজনে সব কম্পিটিশন মিলিয়ে করেন রেকর্ড ১২২ গোল, এর আগে কোন একটি সিজনে কোন ত্রয়ীর সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা ছিলো ১১৮ টি, যা করেছিলো ২০১১/১২ সিজনে রোনালদো-বেনজেমা-হিগুয়েন ত্রয়ী। ২০১৪-১৫ সিজনে ৫৫ টি গোলে সহায়তাও করেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ। ঐ সিজনে বার্সার ট্রেবল জয়ের পেছনে এই ত্রয়ীর ভূমিকা কতোটা ছিলো তার জন্য একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট, উচলে করা বার্সার ৩১ টি গোলের মধ্যে ২৭ টিই আসে এই ত্রয়ী থেকে।
পরের সিজনে এই ত্রয়ী আরো বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। নিজেদের করা আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ২০১৫/১৬ সিজনে এই ত্রয়ী করে ১৩১ গোল, যা এখনো কোন সিজনে কোন টিমের ৩ জন ফুটবলারের করা সর্বোচ্চ গোল। এই ১৩১ গোলের মধ্যে লা লিগায় করে ৯০ গোল এবং উচলে করে ১৭ গোল। ১৩১ টি গোলের পাশাপাশি ৬৫ টি গোলে সহায়তা করেন মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার ত্রয়ী। আগেরবার তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮ টি গোল করে নেতৃত্বে ছিলেন মেসি। কিন্তু ২০১৫/১৬ সিজনটি ছিলো সুয়ারেজের। লীগে সর্বোচ্চ ৪০ গোল করে মেসি-রোনালদোকে পিছনে ফেলে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে জিতে নেন পিচিচি ট্রফি। সব কম্পিটিশন মিলিয়ে সুয়ারেজের গোলসংখ্যা ছিলো ৫৯ টি। মেসি ও নেইমার করেন যথাক্রমে ৪১ ও ৩১ টি। ওই সিজনে অ্যাটলেটিকো এর কাছে হেরে উচলের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও বার্সা ঘরোয়া ডাবল জিতে নেয়, এছাড়া ২০১৫ সালে সম্ভাব্য ৬ টি শিরোপার ৫ টিই জিতে নেয় বার্সা। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বিলবাও এর কাছে না হারলে ২য় সেক্সটাপলও পেয়ে যেতো বার্সা।
২০১৫-১৬ সিজনে গোল স্কোরিং এর দিক দিয়ে এমএসএন ত্রয়ীর ইম্প্যাক্ট বুঝার জন্য একটা স্ট্যাটস দেই। এই সিজনে বার্সা সব কম্পিটিশন মিলিয়ে ১৭৩ টি গোল করে। এর মধ্যে ২১ টি গোল বাদে বাকি ১৫২ টি গোলেই সরাসরি ভূমিকা ছিলো এমএসএন ত্রয়ীর কারো না কারো। এই ২১ টি গোলের মধ্যে আবার ১ টি ছিলো পেনাল্টি এবং ২ টি ছিলো ওউন গোল। বাকি ১৮ টি গোলের মধ্যে ৭ টা গোল ছিলো কোপা ডেল রে এর এমন দুটি ম্যাচে যে দুটি ম্যাচে এমএসএন ত্রয়ীর কেউই খেলেননি। তার মানে এমএসএন ত্রয়ীর মিনিমাম একজন হলেও খেলেছেন কিন্তু গোলে অবদান রাখেননি এরকম গোলসংখ্যা মাত্র ১১ টি।

২০১৬-১৭ সিজন, এমএসএন ত্রয়ীর সর্বশেষ সিজন। এই সিজনে শুধুমাত্র কোপা ডেল রে জিতেই ক্ষান্ত থাকতে হয় বার্সাকে। এই সিজন শেষে প্রথমে বিদায় নেন কোচ লুইস এনরিকে। এরপর অনেক নাটকীয়তার পর ট্রান্সফার বিশ্বরেকর্ড গড়ে বার্সা থেকে পিএসজিতে যান নেইমার, ইতি ঘটে ফুটবল ইতিহাসে গ্রেটেস্ট ফুটবল ট্রায়োর৷ তবে যাওয়ার আগে রচনা করে গিয়েছিলেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা কামব্যাকের। উচলের রাউন্ড অব সিক্সটিন এর প্রথম লেগে প্যারিস থেকে ৪-০ গোলে হেরে আসার পর বার্সা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে এর পক্ষে বাজি খুব কম মানুষই ধরেছিলেন। কিন্তু এর পরের গল্পটা সবারই জানা। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি লেগে রচিত হয় ‘লা রেমোনটাডা’। ৬-১ গোলে জিতে বার্সা উঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। বার্সার করা ৬ গোলের মধ্যে একটি ছিলো ওউন গোল, বাকি ৫ টির মধ্যে একটি গোল মেসির, একটি সুয়ারেজের, দুটি নেইমারের এবং সার্জি রবার্তোর করা ম্যাচের শেষ মিনিটের সেই গোলেরও এসিস্টদাতা নেইমার, লা রেমোনটাডার নায়ক। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাসের কাছে হেরে উচল থেকে বাদ পড়ে বার্সা।
২০১৬-১৭ সিজনে এমএসএন ত্রয়ী আগের দুই সিজন থেকে কম গোল করলেও সেটা ১০০ এর উপরেই থাকে। সব কম্পিটিশন মিলিয়ে ১১১ টি গোল ও ৫১ টি এসিস্ট করেন মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমার।
২০১৬/১৭ সিজনের লীগের শেষ ম্যাচ ছিলো এইবারের বিপক্ষে, ২০১৭ সালের ২১ মে.. ঐ ম্যাচে শেষবারের মতো ত্রয়ীর তিনজনই মাঠে নামেন। বার্সার ৪-২ এ জেতার ম্যাচে মেসি ২ টি ও সুয়ারেজ ১ টি গোল করে.. নেইমার ঐ ম্যাচে গোল না পেলেও নেইমারকে করা ফাউলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেন মেসি। এই ম্যাচই ছিলো ৩ জনের একসাথে মাঠে নামার শেষ ম্যাচ। ২৭ মে কোপা ডেল রের ফাইনালে আলাভেসের বিপক্ষে নেইমার মেসি খেললেও খেলেননি সুয়ারেজ। এটি ছিলো নেইমারের শেষ ম্যাচ ব্লাউগ্রানা জার্সিতে। ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচটিতে নেইমার বার্সার হয়ে সর্বশেষ গোলটি করেন এবং মেসির গোলটিতেও সহায়তা করেন। পরের সিজনের শুরুতে ২২২ মিলিয়ন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি তে নেইমার পিএসজিতে যোগ দেওয়ায় অফিশিয়ালি ইতি ঘটে এমএসএন ট্রায়োর।


উপরের স্ট্যাটস থেকেই বুঝা যায় তাদের ইম্প্যাক্ট মাঠে কতোটা..
তিন সিজনে এতো বিপুল পরিমাণ গোল আর গোল কন্ট্রিবিউশান এর পেছনে একটা বড় কারণ মাঠে তাদের মধ্যে দারুণ কেমিস্ট্রি। আর এই কেমিস্ট্রির পেছনে কয়েকটা কারণ আছে। প্রথমত তিনজনই হলেন লাতিন। তাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়ার পেছনে এটা অনেকটা সহজাতভাবেই পেয়ে গিয়েছেন তিনজনই।
মেসির প্লেমেকিং এবিলিটি সবারই জানা, ব্রাজিল টিমে কিংবা ক্রিয়েটিভিটিলেস পিএসজির মিডফিল্ডেও নেইমারের প্লেমেকিং এবিলিটি দেখা যায়। সুয়ারেজের প্লেমেকিং এবিলিটি সেই তুলনায় খুব একটা দেখা যায় না সচরাচর, কিন্তু সুয়ারেজের এসিস্টের সংখ্যার দিকে তাকালে সেটা পরিষ্কার। একজন প্রলিফিক গোলস্কোরার হয়েও সুয়ারেজ তিন বছরে টোটাল ৫৯ টি গোলে সহায়তা করেন যা তার প্লেমেকিং এবিলিটিরই প্রমাণ।
এমএসএনের তিনজনেরই বিল্ড আপ এর সময় ডিপে নেমে বল কালেক্ট করে সামনে ডিস্ট্রিবিউট করার এবিলিটি আছে। তবে ম্যাক্সিমাম সময়ে সেটা মেসিই করে থাকে, যেহেতু পেপের আমলে মেসি হরহামেশা এ কাজটা করতো। বিল্ড আপ এর সময় মেসি সেন্ট্রাল মিডে চলে আসলে সুয়ারেজ কিছুটা ডানে সরে রাইট হাফস্পেসে অবস্থান করতো, নেইমারও তখন লেফট উইং থেকে কিছুটা মাঝের দিকে সরে এসে লেফট হাফ স্পেসে অবস্থান করতো।
আবার অনেক সময় লেফট সাইড থেকে বিল্ড আপ শুরু হলে নেইমার অনেক সময় বল নিয়ে সেন্ট্রালি কাট ইন করতো। তখন সুয়ারেজ নেইমারের লেফট সাইডে ফেলে আসা স্পেস অকুপাই করতে কিছুটা বামে সরে যেতো।
একারণে এমএসএনের গোলের ভিডিওর ক্লিপ দেখলে অনেক সময়েই দেখা যায় গোলের সময় সুয়ারেজ লেফটে, নেইমার সেন্ট্রালে কিংবা মেসি সেন্ট্রালে, সুয়ারেজ রাইট সাইডে অবস্থান করছে। আর এই যে একজনের অবস্থান অনুযায়ী অপরজনের পজিশন সোয়াপিং- এটা যেনো টেলিপ্যাথিক কোন যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্পন্ন হতো।
বার্সার কাউন্টার এটাকের সূচনা ঘটতো মেসির মাধ্যমে। সাধারণত অফ দা বলে বার্সা শুরুতে নেইমার ও সুয়ারেজ ও মেসিকে উপরে রেখে বাকি সাতজন মিলে পজেশন রিগেইন করার চেষ্টা করতো। কিন্তু মাঝে মাঝে নেইমার ও সুয়ারেজও ধীরে ধীরে অপনেন্ট প্লেয়ারদের প্রেস করা স্টার্ট করতে কিছুটা ডিপে নামতো৷ তখন বার্সা পজিশন রিগেইন করলে উপরে ফাঁকা স্থানে থাকা মেসির কাছে বল দিতো। মেসি ড্রিবলিং করে সেন্ট্রালি কাট ইন করতো এবং নেইমার ও সুয়ারেজ দুই পাশ দিয়ে ফরোয়ার্ড রান নিয়ে বক্সে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান নিতো।
এই যে লাতিন তিনজনের মধ্যে যে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ, এটার কারণেই মূলত এমএসএন অপনেন্টের বক্সের সামনে এরকম আনপ্রেডিক্টেবল ও বিধ্বংসী রূপ ধারণ করতো।
MSN ট্রায়োটি ছিলো যেকোন ডিফেন্সের জন্যই দুঃস্বপ্নের নাম। কিন্তু একইসাথে বার্সা সাপোর্টার কিংবা সাধারণ ফুটবল-ভক্তদের জন্য চোখের জন্য প্রশান্তির ফুটবল প্রদর্শনকারী এক এটাকিং ট্রায়ো। প্রত্যেক বার্সা ফ্যানদের মধ্যেই আফসোস থাকবে এই তিনজনকে একসাথে আরো কিছুদিন খেলতে না দেখার। ২০১৭ সালে বার্সার বন্ধন ছিন্ন করে চলে গিয়েছেন নেইমার, লাস্ট সামার ট্রান্সফারে সুয়ারেজও চলে গিয়েছেন বার্সা ছেড়ে, একা শুধু মেসিই আছেন এখন। ১-২ বছর পর হয়তো তিনিও বার্সা ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু থেকে যাবে এমএসএন এর লিগ্যাসি।
Discussion about this post