বিনা বেতনে এ পর্যন্ত শতাধিক ক্লাস অনলাইনে প্রচার করেছেন ‘মাল্টি ল্যাংগুয়েজ এডুকেশন অনলাইন স্কুল’ সংগঠনটির সদস্যরা।
করোনা মহামারির কারণে দেশে স্কুল বন্ধ প্রায় ১১ মাস। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ক্লাসগুলো প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হলেও আওতার বাইরে থাকছে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে মাতৃভাষায় শিক্ষা চলমান রাখতে খাগড়াছড়িতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ‘মাল্টি ল্যাংগুয়েজ এডুকেশন অনলাইন স্কুল’ নামের একটি সংগঠন। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় অনলাইনে ক্লাস চালাচ্ছেন ২৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।
এমএলই অনলাইন স্কুল পরিচালনা কমিটির প্রশিক্ষক ও সদস্য সচিব রিন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, অনলাইনে মাতৃভাষাভিত্তিক চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা এই তিনটা ভাষাতেই আমরা ক্লাস নিব। শিক্ষকরাও এ বিষয়ে ভালো সহযোগিতা করছেন।
এ পর্যন্ত প্রাথমিকের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তিনটি ভাষায় ১শ’ ১৮টি ক্লাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। নিজস্ব জায়গা না থাকায় শিক্ষকরা ক্লাসগুলো রেকর্ড করছেন সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার কার্যালয়ে।
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রথমের দিকে অনলাইনে ক্লাস নিতে একটু সমস্যা মনে হতো, কিন্তু এখন সেই জায়গাটা পার করে আসছি। ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাদের ক্লাসের প্রশংসা করছেন।
সম্মানি ছাড়াই মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের এই কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা।
এমএলই অনলাইন স্কুল পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শুধু খাগড়াছড়ি বা এই এলাকার মানুষই না সারা বাংলাদেশে যেসকল আদিবাসী রয়েছে তাদের সকল শিশু যাতে এর আওতার মধ্যে আসে সে বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
Discussion about this post