খেলাধুলা ডেস্ক
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব হয়ে বসুন্ধরা কিংসে দুই সিজন পার করার পর জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকলেও লাল-সবুজের জার্সি গায়ের চাপানোর সুযোগ হয়নি জিকোর। তবে গত নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জিকোর প্রতি আস্থা রাখেন কোচ জেমি ডে। প্রথম ম্যাচ মাঠে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই আবারও বেঞ্চে থাকতে হয় জিকোকে। এরপর ডিসেম্বরে কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আশরাফুল রানাকে বেঞ্চ করে মাঠে নামার সুযোগ হয় জিকোর। কাতারের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হলেও সেদিন বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়েছিলেন জিকো। পুরা ম্যাচে দুর্দান্ত সব সেইভ দিয়ে বনে যান হেরে আসা বাংলার হিরো।
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের পর ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লীগ মাঠে গড়ালেও আর মাঠে গড়ায়নি জাতীয় দলের খেলা। প্রায় চার মাস পর আবারো অনুশীলনে বাংলাদেশ জাতীয় দলে, এবারের মিশন নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবেই নিচ্ছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। নেপাল টুর্নামেন্টের জন্য জিকো ছাড়াও দুই অভিজ্ঞ গোলকিপার আশরাফুল রানা ও শহিদুল আলম সোহেল জায়গা পেয়েছেন স্কোয়াডে। এছাড়া স্টান্ড বাই হিসেবে আছে তরুন মিতুল মারমা। আশরাফুল রানা ও সোহেলকে পাশ কাটিয়ে একাদশে জায়গা করে নেওয়া চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন আনিসুর রহমান জিকো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিকো বলেন,
“জাতীয় দলে কিন্তু সবাই বেস্ট প্লেয়ার, এখানে রানা ভাই আছে, সোহেল ভাই সহ নেপালে অ-১৬ চ্যাম্পিয়নস শীপ জেতা মিতুল আছে। তাই এখন আমার চ্যালেঞ্জটা আরো বেড়ে গেল। আমি যেহেতু বেশি ম্যাচ খেলিনাই,মাত্র দুইটা ম্যাচ খেলেছি। সামনে অনেক গুলো ম্যাচ আছে, আমরা যারা তরুণ আছি, তারা যদি এখন থেকে বড় ম্যাচের প্রেসার নিতে পারি তাইলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দল ভাল কিছু করবে।”
নেপালের মাঠে নেপাল ও কীরগিস্তান অনুর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে কঠিন হবে ম্যাচ বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে জিকো বলেন,
“যেহেতু এটা নেপালের মাঠে খেলা সেহেতু ওদের মাঠে নেপালকে হারানো অনেক কঠিন, এর আগেও নেপালের সাথে খেলেছি। কীরগিস্তানও অনেক ভাল দল, মোটামুটি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। এখানে আমরা যদি সবাই নিজেদের বেস্ট টা দিতে পারি তবে অবশ্যই ভাল কিছুর আশা করা যায়।”
Discussion about this post