খেলাধুলা ডেস্ক
২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে চার বছর পর সুইডেন জাতীয় দলে ফিরেলেন ৩৯ বছর বয়সী জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ফিরে আসাটা খুব একটা সহজ ছিলনা ইব্রার জন্য। যে কারণে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। এছাড়া পরিবারের জন্যও তার মন কাঁদছিল।
সাড়ে চার বছর আগে ইব্রা ফুটবলকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তার মনে আশা ছিল সুইডিশ দল তাকে আবারো জাতীয় দলে ডাকবে এবং তিনি বিশ্ব ফুটবলে ফিরে আসবেন। আর তার সেই আশা পূরণ করেছেন সুইডেনের বর্তমান কোচ জেনি অ্যান্ডারসন। নিজের সেই অনুভূতির কথা সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সামনে বলতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ইব্রা। এ সময় তার পাশে কোচ অ্যান্ডারসন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার জর্জিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচ দিয়ে সুইডেন তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মিশন শুরু করবে। সুইডেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইব্রাহিমোভিচ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১১৬ ম্যাচে ৬২ গোল করেছেন। ২০২০ সালের শেষের দিকে এক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে জাতীয় দলে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরপরই অ্যান্ডারসন দ্রুত মিলানে উড়ে গিয়ে সাবেক অধিনায়ককে দলে ফেরানোর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
আবেগাপ্লুত ইব্রা বলেন, ‘একজন ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলে খেলার মত বড় কিছু আর হতে পারে না। জাতীয় দল থেকে চলে যাওয়ার পরও আমি সব সময়ই তাদের খেলা অনুসরণ করেছি। ভেতরে ভেতরে আমার মনে হয়েছে, আমি যদি দলকে সহযোগিতা করতে পারতাম তাহলে ভাল লাগতো। জাতীয় দলের জন্য, দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ সবসময়ই অনুভব করেছি।’
যদিও কোচ অ্যান্ডারসনের সাথে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে ইব্রার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এখানে কোনো একজন দায়ী নয়। একজন খেলোয়াড় কী চায় ও একজন কোচ কি চায় তা পারষ্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই সমাধান করা উচিত। এখন আমার সামনে সুযোগ এসেছে আবারো দেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করার। আমি সম্মানিত বোধ করছি। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে শুধুমাত্র অনুভূতি প্রকাশ নয়, সত্যিকার অর্থেই দেশকে কিছু দেওয়ার জন্যই এখানে ফিরে এসেছি। কোচ ও সতীর্থদের জন্য ও পুরো দেশের জন্য আমি ফলাফল এনে দিতে চাই। কথা বলে কিছু হবে না, মাঠে তার প্রমাণ দিতে হবে।’
Discussion about this post