খেলাধুলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। আর তাই তো শেষ ম্যাচেও আস্থা ব্যাটসম্যানদের ওপর। এই ম্যাচকে সামনে রেখে টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক জন লুইস জানিয়েছেন, লক্ষ্য বড় হলে তা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিয়ে বড় শট খেলতে হবে।
ডানেডিনে মাত্র ১৩১ রানে অল আউট হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। এরপর ক্রাইস্টচার্চে সে প্রশ্নের জবাব মাঠেই দিয়েছেন তামিম-মিঠুনদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে ওমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর টাইগার অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমরা কোনোভাবেই ১৩০ রান করার মতো দল নই।’
পরের ম্যাচে প্রবল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২৭১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। যদিও শেষ পর্যন্ত বোলারদের ব্যর্থতা আর ফিল্ডিংয়ের করুণ দশায় ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সিরিজটাও! এবার শেষ ম্যাচে তাই ভাগ্য বদলের লক্ষ্য টাইগারদের। আর তাতেও ওই ব্যাটসম্যানদের দিকেই তাকিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক জন লুইস।
ওয়েলিংটনে পৌঁছে লুইস বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে আমাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি সকলের চোখে পড়ার মতো। যেটা আমরা ডানেডিনে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। আমি জানি আমরা টসে হেরেছিলাম আর ওই সময়টা বোলারদের জন্য বাড়তি কিছুটা সাহায্য এনে দিয়েছে। তবে ক্রাইস্টচার্চের উইকেট কিছুটা স্পোর্টিং ছিল আর আমাদের ছেলেরা সেখানে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ওরা যেভাবে অনুশীলনটা করেছে ঠিক সেভাবেই মাঠে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওদের লড়াইটা বৃথা গেছে কারণ দিন শেষে আমরা ম্যাচটা জিততে পারিনি।’
লুইস আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা প্রথম ১০ ওভারে যদি একটু ধীরেও শুরু করে তবে বিশ্বাস আছে যে পরের দিকে আমরা সেটা পুষিয়ে উঠতে পারবো কারণ আমাদের সেই শক্তি আছে। প্রথম ১০ ওভারে যদি আমরা এক উইকেট হারিয়ে ৩০-৪০ রানও করতে পারি সেটাও আমাদের জন্য ঠিক আছে। ডানেডিনে আমরা দুই/তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি আর নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করি। তবে ক্রাইস্টচার্চে তামিম-সৌম্যর জুটিটা মিথুনকে পরবর্তীতে ভালো ইনিংস খেলতে সাহায্য করেছে।’
যদি কিউইরা আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়? তখনই কি ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাবে তামিমের দলের? কিভাবে বড় সংগ্রহ তাড়া করবে সৌম্য-লিটনরা? জবাবটা দিয়েছেন টাইগার ব্যাটিং কোচ।
জন লুইস বলেন, ‘আমরা যদি আগে ব্যাট করি তাহলে আমাদের নতুন বল সামলাতে হবে এবং বেশ সাবধানেই খেলতে হবে। ওদের ট্রেন্ট বোল্ট আছে আবার যদি শেষ ম্যাচে টিম সাউদি যোগ দেয় তাহলে ওরা দুর্দান্ত এক বোলিং ইউনিট। তবে আমরা যদি বড় স্কোর তাড়া করতে নামি তাহলে আমাদের পাওয়ার প্লে’র সুযোগ নিতে হবে। আমাদের পাওয়ার প্লেতে বড় শট খেলতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে।’
Discussion about this post